জরায়ু ক্যান্সার : কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা,ভ্যাকসিন
নারীদের জরায়ু ক্যান্সারকে বলা হয় সাইলেন্ট কিলার বা 'নীরবঘাতক'। কারণ এই অসুখে আক্রান্ত হলেও অনেক নারী এর লক্ষণ বুঝতে পারেন না। আবার ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও অনেক সময় গুরুত্ব দেন না। শুধু তাই নয়, নারীরা যেসব ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হন তার মধ্যে জরায়ু ক্যান্সার অন্যতম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার নারী এই রোগে মারা যান। জরায়ুমুখ রোগের মধ্যে ৯০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার বা আইএআরসি'র তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর নতুন করে ৮ হাজার ২৬৮ জন নারীর শরীরে শনাক্ত হচ্ছে জরায়ুর ক্যান্সার। আর বছরে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী জরায়ুমুখের ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন।
যে ভাইরাসটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিউম্যান প্যাপিলোমা জীবাণু প্রবেশের পর ১৫ থেকে ২০ বছরও সময় লাগে জরায়ুমুখের ক্যান্সার হতে। এক্ষেত্রে এটি নির্ণয়ে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, অন্য ধরনের ক্যান্সারের তুলনায় জরায়ুমুখের ক্যান্সার খুব সহজে নির্ণয় করা যায়। তবে, জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মুল সমস্যা হলো- এটি শেষ পর্যায়ে গেলেই শুধু ব্যথা দেখা দেয়। যা মেয়েলী সমস্যা বলে ভুল করে থাকেন বেশিরভাগ সময়ই। এমন ভুল যেন না হয়, সেজন্য লক্ষণগুলো মনে রাখা জরুরি।
জরায়ুমুখের ক্যান্সারের লক্ষণ-
জরায়ুমুখে ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ অ্যাডভান্সড স্টেজে ধরা পড়ে। প্রথমদিকে এই রোগের কোনো লক্ষণ থাকে না। এরপর যখন লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন সেটা অ্যাডভান্সড হয়ে যায়। এ কারণে জরায়ু ক্যান্সারকে নীরব ঘাতক বলা হয়ে…
জরায়ু ক্যান্সার : কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা,ভ্যাকসিন
নারীদের জরায়ু ক্যান্সারকে বলা হয় সাইলেন্ট কিলার বা 'নীরবঘাতক'। কারণ এই অসুখে আক্রান্ত হলেও অনেক নারী এর লক্ষণ বুঝতে পারেন না। আবার ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও অনেক সময় গুরুত্ব দেন না। শুধু তাই নয়, নারীরা যেসব ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হন তার মধ্যে জরায়ু ক্যান্সার অন্যতম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার নারী এই রোগে মারা যান। জরায়ুমুখ রোগের মধ্যে ৯০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনাই ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার বা আইএআরসি'র তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতি বছর নতুন করে ৮ হাজার ২৬৮ জন নারীর শরীরে শনাক্ত হচ্ছে জরায়ুর ক্যান্সার। আর বছরে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী জরায়ুমুখের ক্যান্সারে মারা যাচ্ছেন।
যে ভাইরাসটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিউম্যান প্যাপিলোমা জীবাণু প্রবেশের পর ১৫ থেকে ২০ বছরও সময় লাগে জরায়ুমুখের ক্যান্সার হতে। এক্ষেত্রে এটি নির্ণয়ে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, অন্য ধরনের ক্যান্সারের তুলনায় জরায়ুমুখের ক্যান্সার খুব সহজে নির্ণয় করা যায়। তবে, জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মুল সমস্যা হলো- এটি শেষ পর্যায়ে গেলেই শুধু ব্যথা দেখা দেয়। যা মেয়েলী সমস্যা বলে ভুল করে থাকেন বেশিরভাগ সময়ই। এমন ভুল যেন না হয়, সেজন্য লক্ষণগুলো মনে রাখা জরুরি।
জরায়ুমুখের ক্যান্সারের লক্ষণ-
জরায়ুমুখে ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ অ্যাডভান্সড স্টেজে ধরা পড়ে। প্রথমদিকে এই রোগের কোনো লক্ষণ থাকে না। এরপর যখন লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন সেটা অ্যাডভান্সড হয়ে যায়। এ কারণে জরায়ু ক্যান্সারকে নীরব ঘাতক বলা হয়ে…
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে এই জরুরি তথ্যগুলো আপনিও জেনে রাখুন
সারা দেশেই বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এ অবস্থায় ডেঙ্গু জ্বরসম্পর্কিত কিছু জরুরি তথ্য সবার জেনে রাখা প্রয়োজন।
১. ডেঙ্গু জ্বরে একেবারে শুরু থেকেই চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। চিকিৎসায় বিলম্ব হলে জীবন সংশয়ের কারণ হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর। ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর প্রধান কারণ হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে দেরি করে আসা। তাই এই মৌসুমে জ্বর হলে দেরি না করে প্রথম বা দ্বিতীয় দিনই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা আরও বেশি জরুরি।
২. অনেকের ধারণা ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা জ্বরের তিন দিন পার না হওয়া পর্যন্ত করা যায় না। কথাটা সত্য না। ডেঙ্গুর পরীক্ষা জ্বর আসার প্রথম দিন থেকেই করা যায় এবং ডেঙ্গু হয়েছে কি না, প্রথম দিনই শনাক্ত করা যায়।
৩. ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত তিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। জ্বর ভালো হয়ে যাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টাকে বলা হয় সংকটকাল। কারণ, ডেঙ্গু রোগজনিত বিভিন্ন জটিলতা এ সময়ে হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই জ্বর সেরে গেলে নিশ্চিন্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
যেসব লক্ষণ থাকলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে
প্রচণ্ড পেটব্যথা, বমি।
শ্বাসকষ্ট অথবা পেট ফুলে যাওয়া।
আঘাত ছাড়াই অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ।
জ্ঞানের মাত্রা কমে যাওয়া বা অস্বাভাবিক আচরণ করা।
অত্যধিক দুর্বলতা।
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া।
এই লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে চলে যেতে হবে অথবা জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সতর্ক হোন
এখন ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ যেহেতু বেশি, এর প্রতিরোধের জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১. বাসায় গাছপালা থাকলে পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. পানি জমে থাকতে…
হৃদরোগীদের ডেঙ্গু: করণীয় কী
ঢাকায় বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর আতঙ্ক। প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গতকাল একদিনে ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে তিনজনের প্রাণ। ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ইতিমধ্যে মারা গেছেন ১৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৭৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮৭ জন। গতকাল আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৮৭ জন এবং ১০ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে। জানুয়ারি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৬ জন, মারা গেছেন ছয়জন। ফেব্রুয়ারি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬ জন, মারা গেছেন তিনজন। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১১ জন। এপ্রিলে ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন দুজন। মে মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন, মারা গেছেন দুজন, জুন মাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৪ জন, মারা গেছেন তিনজন।
ডেঙ্গু মৌসুমে কারও জ্বর হলে সেটা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ঘরে বসে অপেক্ষা না করে চিকিৎসককে দিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সামান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। তীব্র জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, সারা শরীর ব্যথা, মেরুদণ্ড ব্যথা, খাবার অরুচি, বমি এসব ডেঙ্গুর লক্ষণ। সাধারণত চার পাঁচ দিন একটানা জ্বর শেষে হঠাৎ জ্বর কমে যায় এবং পঞ্চম বা ষষ্ঠ দিনে গায়ে লাল লাল এক ধরনের দানা ওঠে এবং দ্বিতীয়বারের মতো আবার জ্বর দেখা দেয়। তবে ডেঙ্গুর প্রকৃতি এবং পরিণতি সবক্ষেত্রে, সবার ক্ষেত্রে একরকম হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ উচ্চ ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারেন।
পরীক্ষা করবেন : জ্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে CBC এবং Dengue NS1 Ag পরীক্ষা করলেই…
পারকিনসন রোগ কি?তার লক্ষ্যণ ও প্রতিকার
অকারণে হাত-পা কাঁপা, হাঁটা-চলা ধীর হয়ে যাওয়া ও শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারা ইত্যাদি পারকিনসন রোগের লক্ষণ। পারকিনসন সাধারণত বৃদ্ধ বয়সের রোগ; তবে কিছু ক্ষেত্রে অল্প বয়সেও পারকিনসন দেখা দিতে পারে।
কেন হয়? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পারকিনসন রোগের কারণ অজানা; তবে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়, মস্তিষ্কে প্রদাহ (এনসেফালাইটিস), স্ট্রোক ইত্যাদি বিভিন্ন কারণেও পারকিনসন হতে পারে। অল্প বয়সে কারও পারকিনসন দেখা দিলে ‘উইলসন ডিজিজ’ নামক একটি রোগের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
লক্ষণসমূহ: * হাঁটা-চলা ধীর হয়ে যাওয়া, কথার আওয়াজ কমে যাওয়া, লেখা ছোট ও লেখার গতি কমে যাওয়া * হাত অথবা পা কাঁপা * হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়া * ভারসাম্য রক্ষা করতে না পারা; বিশেষ করে হাঁটা- চলার সময় * এ ছাড়া স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদিও পারকিনসন রোগের লক্ষণ।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা: পারকিনসন রোগ নির্ণয় করতে হলে চিকিৎসককে রোগীর ইতিহাস মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে ও প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। কোনো ওষুধের দীর্ঘমেয়াদি সেবনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় পারকিনসন রোগ দেখা দিচ্ছে কিনা তা ভালো করে দেখতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা কমানোর ওষুধ অথবা মানসিক রোগের ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি সেবনে এই রোগ দেখা দিতে পারে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রোগের কারণ নির্ণয়ের জন্য মস্তিষ্কের এম আর আই পরীক্ষা করা যেতে পারে।
চিকিৎসা: পারকিনসন নিরাময়যোগ্য রোগ নয়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। এই রোগের চিকিৎসা শুরুর পূর্বে রোগীর সঙ্গে এই রোগের লক্ষণ, চিকিৎসার প্রক্রিয়া, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও দীর্ঘমেয়াদি ভালো থাকার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। মস্তিষ্কের ডোপামিনের অভাবে পারকিনসন রোগ হয়; তাই ডোপামিন জাতীয় ওষুধ এই রোগের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। এ ছাড়া আরও অনেক ধরনের ওষুধ পারকিনসন নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়; যার…