ব্রেস্ট ক্যান্সার, লজ্জা নয় ।
নিজের একটু সচেতনতায় নিজেকে সুস্হ্য রাখুন (১০ অক্টোবর পালিত হচ্ছে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস)।
মহিলাদের ক্ষেত্রে সম্ভবত স্তন ক্যান্সারই সবচেয়ে ভীতিকর রোগ। কারণ এটা বেশি ঘটে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর কারণ অজানা রয়ে যায়। তবে বর্তমান লেখাটিতে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে, যা আপনাকে রোগটি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। আর এটা থেকেই আপনি খুঁজে পাবেন প্রতিরক্ষার উপায়।
স্তন ক্যান্সার এক ঘাতক রোগের নাম- আমেরিকার ক্যান্সার সোসাইটির এক জরিপে দেখা যায়, ২০০০ সালে খোদ আমেরিকাতেই স্তন ক্যান্সারে মৃত্যু হয়ে ৪০ হাজার ৮০০ জন মহিলা। আমেরিকার মহিলাদের ক্যান্সারে মৃত্যু হওয়ার দ্ব্বিতীয় প্রধান কারণ হলো
স্তন ক্যান্সার। প্রথম প্রধান কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার। এই ঘাতক রোগ স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুবরণকারী মহিলাদের বয়স ৪০-৫৫ বছর।
প্রত্যেক মহিলারই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে- কিছু কিছু বিষয় মহিলাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে ৫০ বছরের পর মেনোপজে প্রবেশ কিংবা কোনো সন্তান না নেয়া। তবে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ মহিলারই রোগের কোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় জানা যায় না।
গবেষকদের মতে, প্রাথমিক পh©ায় রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা করালে প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীর রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে । প্রাথমিক পh©ায় রোগ নির্ণয়ের জন্য তাই ২০ বছর বয়স থেকেই মহিলাদের প্রতি মাসে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। চিকিৎকের কাছ থেকে আপনাকে জেনে নিতে হবে কিভাবে আপনি স্তন পরীক্ষা করবেন। ৪০ বছর এবং তার বেশি বয়স্ক মহিলাদের নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করাসহ বছরে একবার ম্যামোগ্রাম করাতে হবে। এসব পরীক্ষার মাধ্যমেই কেবল সম্ভব প্রাথমিক পh©ায় রোগ শনাক্তকরণ।
প্রাথমিক পh©ায় রোগ নির্ণয়ের স্তরগুলো অনুশীলন করতে খুব বেশি দেরি করবেন না । ম্যামোগ্রাম স্তন ক্যান্সারের থেকে মুক্তিপেতে সাহায্য করে- গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০ বছর বয়স্ক এবং তার চেয়ে বেশি প্রত্যেক মহিলার নিয়মিত ম্যামোগ্রাম করালে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমে যায়।
আপনার বয়স যত বাড়বে তত বাড়তে থাকবে আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি। ৪০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সে ৮০ শতাংশ মহিলারই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা দেখা যায়। তাই প্রাথমিক পh©ায় রোগ নির্ণয়ের স্তরগুলো শিখে নিতে এবং তা অনুশীলন করতে দেরি করবেন না। যাদের বয়স বেশি হয়ে গেছে, তারাও আজ থেকেই অনুশীলন করা শুরু করুন। স‡ev©পরি নিজেকে সুস্হ্য রাখতে নিয়মিত ম্যামোগ্রাম, ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা এবং নিজের স্তন নিজে পরীক্ষার মাধ্যমে সুস্হ্য রাখুন ।
24bdhealth