স্বাস্থ্য বার্তা

হৃদরোগীদের ডেঙ্গু: করণীয় কী

হৃদরোগীদের ডেঙ্গু: করণীয় কী ঢাকায় বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর আতঙ্ক। প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গতকাল একদিনে ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে তিনজনের প্রাণ। ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ইতিমধ্যে মারা গেছেন ১৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৭৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮৭ জন। গতকাল আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯৭ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৮৭ জন এবং ১০ জন ভর্তি হয়েছেন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে। জানুয়ারি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৬ জন, মারা গেছেন ছয়জন। ফেব্রুয়ারি মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৬ জন, মারা গেছেন তিনজন। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১১ জন। এপ্রিলে ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন দুজন। মে মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন, মারা গেছেন দুজন, জুন মাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৪ জন, মারা গেছেন তিনজন। ডেঙ্গু মৌসুমে কারও জ্বর হলে সেটা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ঘরে বসে অপেক্ষা না করে চিকিৎসককে দিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সামান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। তীব্র জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, সারা শরীর ব্যথা, মেরুদণ্ড ব্যথা, খাবার অরুচি, বমি এসব ডেঙ্গুর লক্ষণ। সাধারণত চার পাঁচ দিন একটানা জ্বর শেষে হঠাৎ জ্বর কমে যায় এবং পঞ্চম বা ষষ্ঠ দিনে গায়ে লাল লাল এক ধরনের দানা ওঠে এবং দ্বিতীয়বারের মতো আবার জ্বর দেখা দেয়। তবে ডেঙ্গুর প্রকৃতি এবং পরিণতি সবক্ষেত্রে, সবার ক্ষেত্রে একরকম হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ উচ্চ ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারেন। পরীক্ষা করবেন : জ্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে CBC এবং Dengue NS1 Ag পরীক্ষা করলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগ ধরা পড়ে। জ্বরের পঞ্চম দিন থেকে CBC, Dengue IgM Ab, SGPT পরীক্ষা করতে হবে। কী করবেন : আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক আপনার কোনো উপকারে আসবে না। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসক আপনাকে উপদেশ দেবেন। রক্তের কাউন্ট স্বাভাবিক থাকলে বিশ্রাম নেবেন। জ্বরে মানুষের শরীর থেকে পানি উড়ে গিয়ে পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন লিভার, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই প্রচুর তরল খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। জ্বর কমাতে শুধু প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে। সাবধান জ্বর বা শরীর ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ মুখে বা মলদ্বারে দেওয়া যাবে না। ব্যথানাশক কেন নয় : ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের জমাটবাঁধার প্রধান উপাদান অণুচক্রিকা কমে যেতে পারে। অণুচক্রিকা দেহের স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহে একটি নিখুঁত ভারসাম্য রক্ষা করে। ডেঙ্গু জ্বরে সেই ভারসাম্যটি ভেঙে পড়তে পারে। মনে রাখতে হবে, প্রায় সব ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ অণুচক্রিকার বিরুদ্ধে কাজ তরে। ফলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো কমতে থাকা অণুচক্রিকা ব্যথানাশকের আক্রমণে দ্রুত অকার্যকর হয়ে রোগীকে রক্তক্ষরণের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। হাসপাতালে কখন ভর্তি হবেন : ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর থেকে প্রতিদিন রক্তের CBC পরীক্ষা করতে হবে। যদি দেখা যায় অণুচক্রিকা স্থিতিশীল রয়েছে, রোগী মুখে পর্যাপ্ত খেতে পারছেন তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। যদি অণুচক্রিকা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে এবং রোগীর রক্তচাপ কমতে থাকে, নাড়ির গতি বাড়তে থাকে, মুখে পর্যাপ্ত খেতে পারেন না তাহলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আর যদি দেখা যায় অণুচক্রিকা ধীরগতিতে কমছে তাহলে বাড়িতে বসে প্রতিদিন CBC করতে হবে। অণুচক্রিকা বাড়তে শুরু করলে আর ভয় নেই। ধীরে ধীরে রোগী ভালো হয়ে যাবেন। হৃদরোগীরা কী করবেন : যারা হৃদরোগে আক্রান্ত তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেতে হয়। এই ওষুধগুলো রক্তের অণুচক্রিকার বিরুদ্ধে কাজ করে এদের কার্যক্ষমতাকে হ্রাস করে দেয়। এটি দরকার হয় রক্তনালির ভিতর অনাকাক্সিক্ষত রক্ত যাতে জমাট বাঁধতে না পারে। কিন্তু ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে কমতে থাকা অণুচক্রিকা যেখানে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় সেখানে এই জাতীয় পাতলা করার ওষুধ রক্তক্ষরণের আশঙ্কাকে অনেকগুণ বৃদ্ধি করে। সুতরাং হৃদরোগীরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তপাতলা করার সব ওষুধ সঙ্গে সঙ্গে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। ডাক্তারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে তার নির্দেশমতো চলতে হবে এবং যখনই অণুচক্রিকা স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসবে তখন ডাক্তার সবদিক বিবেচনা করে পুনরায় রক্ত পাতলা করার ওষুধ শুরু করার পরামর্শ দিবেন। এছাড়া প্রায়শই দেখা যায়, হৃদরোগীদের অনেকের হৃদরোগ ছাড়াও উচ্চরক্তচাপ, হার্ট ফেইলুরের ওষুধ খেতে হয়। এসব ওষুধ রক্তচাপকে আরও কমিয়ে দিতে পারে। তাই এসব ওষুধ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে ডেঙ্গু তাদের রক্তের সুগার ওঠানামা করতে পারে। ওষুধ/ইনসুলিন নেওয়ার আগে রক্তের সুগার পরীক্ষা করে ডোজ অ্যাডজাস্ট করতে হবে। লেখক : ডা. মাহবুবর রহমান সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হসপিটাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা।

জেনারেল স্বাস্থ্য
শিশু স্বাস্থ্য
For Ad
নারী স্বাস্থ্য
পুরুষ স্বাস্থ্য

যেভাবে ইবোলা ভাইরাস ছড়ায়
সাম্প্রতিক রোগ
বদভ্যাসে কিডনি বেহাল
শিশুর ওষুধ সেবনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
শিশু স্বাস্থ্য
শিশুর বমি
শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ
পুরুষের যৌন প্রবৃত্তি বাড়ায় মসলাদার খাবার
জোড়ার আঠালো পদার্থ শুকিয়ে গেলে
ফুসফুস ক্যানসার চিকিৎসায় ‘মাইলফলক’
ত্বকে ক্রিম লাগাবেন যেভাবে
তিন লিটার পানি বয়স কমাল ১০ বছর
গর্ভবতী মা কখন ও কতবার যাবেন চিকিৎসকের কাছে?
খাদ্য ও পুষ্টি
গরমে লেবুর সরবত
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু টিপস
রক্তের চর্বি কমানোর জন্য খাদ্যের নিয়ম
কলেরা প্রতিরোধে কম দামি সফল টিকা
হঠাৎ বৃষ্টি ও গরমে ঠান্ডা-জ্বর হলে কি করবেন
কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের উত্তম যে সময়
রোজাদার রোগীদের ওষুধপথ্য ও সতর্কতা অবলম্বন
অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
আদা
প্রশ্নোত্তর : রক্তচাপ
আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর
প্রশ্নোত্তর- বিষয়: কিডনি রোগ
হাততালিও হতে পারে প্রতিদিন সুস্থ থাকার হাতিয়ার
প্রতিনিয়ত দাঁতের ক্ষতি যেভাবে করি
গরমে স্বাস্থ্য- সচেতনতা
মস্তিষ্কে কি ঘটে, যখন নারী মাতৃত্ব লাভ করেন
একরাতেই ব্রণ দূর করার কৌশল
মরণব্যাধি ক্যান্সারের যে ১০ টি সতর্কীকরণ ল¶ণ অবহেলা করবেন না
দীর্ঘ ভ্রমণে স্বাস্থ্য সতর্কতা
ভ্রমণে স্বাস্থ্য সতর্কতা
টিনএজারদের ব্রণ সমস্যা ত্বকের সৌন্দর্যহানীর জন্য দায়ী
স্ক্যাবিস বা চুলকানি প্রতিরোধে করণীয়
ত্বকের যেসব রোগে চিকিৎসা একান্ত দরকার
হৃদরোগ প্রতিরোধে আপনি যা করবেন
হৃদরোগ প্রতিরোধে আপনি যা করবেন
প্রচন্ড গলাব্যথা ও টনসিলে ইনফেকশন
নাক-কান-গলার ক্যান্সার হতে সতর্ক ও সাবধান হওয়া
হঠাৎ কানের পর্দায় আঘাত পেলে
পেপটিক আলসারের আদ্যোপান্ত
অ্যালার্জি ও হাঁপানির থেকে পরিত্রাণ
কাশি যখন সমস্যা
দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের অন্যতম কারণ যখন রেটিনা
চোখের নিচের কালো দাগ কমানোর উপায় (১১ অক্টোবর বিশ্ব দৃষ্টি দিবস)
চোখ উঠলে যা করবেন
শীতকালে হাটুর ক্ষতি এড়াতে ১০টি বিষয় জেনে নিন
ঘাড়, মাথা ও বুক ব্যথার লক্ষণ ও চিকিৎসা
সকল প্রকার ব্যথায় কী বাত?
লিভার ডিজিজের অন্যতম ভয়াবহ কারণ এলকোহল
জানুন যকৃতের জন্য ভালো ও মন্দ খাবার কী
ভাইরাল হেপাটাইটিস একটি জটিল ও নিরাময়যোগ্য রোগ (২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস)
প্রশ্নোত্তরে মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ জেনে নিই। (১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস)
হয়তো আপনার ঘরেই আছে সিজোফ্রেনিয়া রোগী
সিজোফ্রেনিয়া একটি অন্যতম মানসিক রোগ (১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস)
হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া অনুভব করলে করণীয়
গেঁটে বাত হলে কী করবেন?
বার্ধক্যে যত ব্যথা-বেদনা
জেনে শুনে যেভাবে দাঁতের ক্ষতি করছেন