কোমর ব্যথার যেমন নানা কারণ, তেমনি এর রূপও নানা রকম। অনেক রোগীর হঠাৎ ব্যথা শুরু হয়, অনেকের ব্যথা হয় ধীরে ধীরে অর্থাৎ দীর্ঘদিন অল্প অল্প ব্যথা অনুভব করার পর একদিন তীব্র ব্যথায় আক্রান্ত হন। এজন্যই চিকিৎসককে ব্যথার কারণ নির্ণয়ে দক্ষ হতে হয়।
স্বভাবতই ভিন্ন ভিন্ন কারণের জন্য চিকিৎসাও ভিন্ন রকম হয়। তাই রোগীর উচিত চিকিৎসককে ব্যথার আদ্যোপান্ত জানানো, যাতে চিকিৎসা দিতে সুবিধা হয়। আবার বয়সের ওপরেও চিকিৎসার ধরন নির্ভর করে।
অনেক চিকিৎসক শুধু ম্যানিপুলেশননির্ভর চিকিৎসা দিতে চান। কিন্তু বয়সভেদে চিকিৎসার ভিন্নতা না আনলে রোগী ভালো ফলাফল পাবেন না। তাই কোমর ব্যথা যেমন রহস্যময় এর চিকিৎসাও জটিল।
উপসর্গ : ব্যথা কোমর থেকে পায়ে চলে যাওয়া, পা ঝিঁ ঝিঁ ধরা। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে বা হাঁটতে না পারা। পা চাবানো। সামনে ঝুঁকলে ব্যথা অনুভূত হওয়া। অনেক রোগী অভিযোগ করেন তিনি শুয়ে থাকলে কোনো ব্যথাই অনুভব করেন না। কিন্তু দাঁড়ালে কিংবা কয়েক মিনিট হাঁটলে কোমর ও পায়ে তীব্র ব্যথা শুরু হয় আর ব্যথা শুরু হলে না বসে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না।
কারণ নির্ণয় : প্রথমেই শারীরিক পরীক্ষা করা প্রয়োজন। অনেক রোগীই ইদানীং টেলিফোন না ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা চান। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ রোগী না দেখে কেবল বর্ণনা শুনে কখনই সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
অপারেশনবিহীন কী কী চিকিৎসা আছে? : কোমর ব্যথা হলেই আমাদের সর্বপ্রথম ব্যথার ওষুধের কথা মনে পড়ে। ওষুধে ব্যথা ভালো না হলে অনেকে মনে করেন অপারেশন ছাড়া ব্যথা ভালো হবে না। বেশিরভাগ কোমর ব্যথায় অপারেশন লাগে না এমনকি ক্ষতিকর ব্যথানাশক ছাড়াই ব্যথা ভালো করা সম্ভব। এমনই একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হল আইপিএম বা ইন্টিগ্রেটেট পেইন ম্যানেজমেন্ট। ইলেক্ট্রোথেরাপি, ম্যানিপুলেশন ও থেরাপিউটিক এক্সারসাইজের মাধ্যমেই বেশিরভাগ ব্যথার রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব।
ডা. মোহাম্মদ আলী
চিফ কনসালট্যান্ট
হাসনা হেনা পেইন অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি রিসার্চ সেন্টার
সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা। ফোন : ০১৮৭২ ৫৫৫ ৪৪৪।
©2014 Copyright by Micron Techno. All rights reserved.