স্বাস্থ্য বার্তা

যখন শিশুর ইমার্জেন্সি চিকিৎসা প্রয়োজন

শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবা-মা উদ্বিগ্ন হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক বাবা-মা’ই বুঝতে পারেন না শিশু অসুস্থ হলে তাকে ঘরে রেখে চিকিৎসা করাবেন নাকি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বা জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য যেসব শিশুকে নেয়া হয় প্রকৃতপক্ষে তাদের অবস্থা গুরুতর কিছু নয়। বাবা-মাকে বুঝতে হবে সত্যিকার অর্থে কখন তারা শিশুকে ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাবেন। যেসব শিশুর ইমার্জেন্সি বা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রয়োজন সেসব শিশুর ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রয়োগে দেরি হলে জীবননাশের আশংকা থাকে; কিন্তু শিশুর ইমার্জেন্সি চিকিৎসা প্রয়োজন কি না তা কীভাবে বুঝবেন। নিচের তথ্যগুলো মনে রাখুন। তা হলেই বুঝবেন দেরি না করে শিশুর দ্রুত ইমার্জেন্সি চিকিৎসা প্রয়োজন।

আপনার শিশু যদি শ্বাস না নেয় কিংবা তার পালস (নাড়ির গতি) না থাকে: এ ক্ষেত্রে দেরি করবেন না মোটেই। আপনার কাছে যদি টেলিফোন থাকে তা হলে আগে শিশুকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎপিণ্ডে চাপ দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদক্রিয়া ফিরিয়ে আনতে থাকুন। তারপর সাহায্যের জন্য হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ফোন করুন। যদি বাসায় আরও লোকজন থাকে তাহলে আপনি শিশুকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে থাকুন, অন্য কেউ ফোনে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আনবে।

শিশু যদি অজ্ঞান হয়ে যায়: শিশু অজ্ঞান হয়ে পড়লে শিশুর আশপাশে লোকজনের ভিড় বন্ধ করুন। ব্যবস্থা করুন দ্রুত শিশুকে হাসপাতালে নিতে। মনে রাখবেন, জ্ঞান ফেরানোর জন্য শিশুর শরীর ধরে অযথা ঝাঁকাঝাঁকি করবেন না, তাতে শিশুর ক্ষতি হবে।

শিশু শক- গেলে:শিশুর শরীরে রক্ত সঞ্চালন ও অক্সিজেন কমে গেলে শিশু শক-এ চলে যায়। সাধারণত মারাত্মক সংক্রমণ, তীব্র পানিশূন্যতা, রক্তক্ষরণ, প্রচণ্ড গরম প্রভৃতি কারণে শিশু শক-এ চলে যায়। শক-এর উপসর্গ হল নাড়ির গতি দ্রুত ও দুর্বল হওয়া, ত্বক ফ্যাকাসে অথবা ছাইয়ের মতো রঙ হওয়া, চেতনা লোপ পাওয়া, হাত-পা ঠাণ্ডা হওয়া প্রভৃতি।

শ্বাস নিতে প্রচণ্ড কষ্ট হওয়া: তীব্র এলার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া, হাঁপানির আক্রমণ, শ্বাসপথের মারাত্মক সংক্রমণ কিংবা শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। দেরি না করে শিশুর ইমার্জেন্সি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

গলায় কিছু আটকে যাওয়া: শিশু অনেক সময় হাতের কাছে যা পায় তাই মুখে দেয়। এ রকম কোনো বস্তু গিলে ফেলার কারণে যদি তা শিশুর গলায় আটকে যায় এবং সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করেও আপনি তা বের করতে সক্ষম না হন তাহলে দ্রুত শিশুকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাবেন।

যদি স্নায়ুরজ্জুতে আঘাত পায়: যদি আপনার মনে হয় যে, শিশু ঘাড়ে কিংবা পিঠে বেশ আঘাত পেয়েছে তা হলে তাকে নাড়াচাড়া করাবেন না। এই আঘাতে তার স্নায়ুরজ্জু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না আপনি জানেন না। অতএব, যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

যদি মারাত্মক রক্তরক্ষণ হয়: যদি পুরো ১০ মিনিট ক্ষতস্থান চেপে রাখার পরও শিশুর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয় তাহলে তার ইমার্জেন্সি চিকিৎসা প্রয়োজন।

 
  •  যদি শিশুর প্রথমবারের খিঁচুনি হয়।
  • শিশুর বয়স যদি মাসের কম হয় এবং তার ১০০.৪ ডিগ্রি জ্বর থাকে।
  • যদি শিশুর তীব্র বমি বা ডায়রিয়া থাকে।
  • যদি শিশুর বিষক্রিয়া ঘটে।
  • যদি শিশু মারাত্মক আঘাত পায় তার কোনো হাড় ভেঙে যায়, মাথায় আঘাত লাগে কিংবা শরীর পুড়ে যায়।
  • শিশুর পেটে যদি তীব্র ব্যথা হয়।

ডা. একেএম মাহমুদুল হক খায়ের
সহকারী অধ্যাপক,
অর্থোপেডিকস ও ট্রুমাটোলজি বিভাগ,
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
 
 

জেনারেল স্বাস্থ্য
শিশু স্বাস্থ্য
For Ad
নারী স্বাস্থ্য
পুরুষ স্বাস্থ্য

যেভাবে ইবোলা ভাইরাস ছড়ায়
সাম্প্রতিক রোগ
বদভ্যাসে কিডনি বেহাল
শিশুর ওষুধ সেবনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
শিশু স্বাস্থ্য
শিশুর বমি
শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ
পুরুষের যৌন প্রবৃত্তি বাড়ায় মসলাদার খাবার
জোড়ার আঠালো পদার্থ শুকিয়ে গেলে
ফুসফুস ক্যানসার চিকিৎসায় ‘মাইলফলক’
ত্বকে ক্রিম লাগাবেন যেভাবে
তিন লিটার পানি বয়স কমাল ১০ বছর
গর্ভবতী মা কখন ও কতবার যাবেন চিকিৎসকের কাছে?
খাদ্য ও পুষ্টি
গরমে লেবুর সরবত
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু টিপস
রক্তের চর্বি কমানোর জন্য খাদ্যের নিয়ম
কলেরা প্রতিরোধে কম দামি সফল টিকা
হঠাৎ বৃষ্টি ও গরমে ঠান্ডা-জ্বর হলে কি করবেন
কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের উত্তম যে সময়
রোজাদার রোগীদের ওষুধপথ্য ও সতর্কতা অবলম্বন
অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
আদা
প্রশ্নোত্তর : রক্তচাপ
আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর
প্রশ্নোত্তর- বিষয়: কিডনি রোগ
হাততালিও হতে পারে প্রতিদিন সুস্থ থাকার হাতিয়ার
প্রতিনিয়ত দাঁতের ক্ষতি যেভাবে করি
গরমে স্বাস্থ্য- সচেতনতা
মস্তিষ্কে কি ঘটে, যখন নারী মাতৃত্ব লাভ করেন
একরাতেই ব্রণ দূর করার কৌশল
মরণব্যাধি ক্যান্সারের যে ১০ টি সতর্কীকরণ ল¶ণ অবহেলা করবেন না
দীর্ঘ ভ্রমণে স্বাস্থ্য সতর্কতা
ভ্রমণে স্বাস্থ্য সতর্কতা
টিনএজারদের ব্রণ সমস্যা ত্বকের সৌন্দর্যহানীর জন্য দায়ী
স্ক্যাবিস বা চুলকানি প্রতিরোধে করণীয়
ত্বকের যেসব রোগে চিকিৎসা একান্ত দরকার
হৃদরোগ প্রতিরোধে আপনি যা করবেন
হৃদরোগ প্রতিরোধে আপনি যা করবেন
প্রচন্ড গলাব্যথা ও টনসিলে ইনফেকশন
নাক-কান-গলার ক্যান্সার হতে সতর্ক ও সাবধান হওয়া
হঠাৎ কানের পর্দায় আঘাত পেলে
পেপটিক আলসারের আদ্যোপান্ত
অ্যালার্জি ও হাঁপানির থেকে পরিত্রাণ
কাশি যখন সমস্যা
দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের অন্যতম কারণ যখন রেটিনা
চোখের নিচের কালো দাগ কমানোর উপায় (১১ অক্টোবর বিশ্ব দৃষ্টি দিবস)
চোখ উঠলে যা করবেন
শীতকালে হাটুর ক্ষতি এড়াতে ১০টি বিষয় জেনে নিন
ঘাড়, মাথা ও বুক ব্যথার লক্ষণ ও চিকিৎসা
সকল প্রকার ব্যথায় কী বাত?
লিভার ডিজিজের অন্যতম ভয়াবহ কারণ এলকোহল
জানুন যকৃতের জন্য ভালো ও মন্দ খাবার কী
ভাইরাল হেপাটাইটিস একটি জটিল ও নিরাময়যোগ্য রোগ (২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস)
প্রশ্নোত্তরে মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ জেনে নিই। (১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস)
হয়তো আপনার ঘরেই আছে সিজোফ্রেনিয়া রোগী
সিজোফ্রেনিয়া একটি অন্যতম মানসিক রোগ (১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস)
হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া অনুভব করলে করণীয়
গেঁটে বাত হলে কী করবেন?
বার্ধক্যে যত ব্যথা-বেদনা
জেনে শুনে যেভাবে দাঁতের ক্ষতি করছেন