কথায় কথায় অ্যালার্জি হয়- এমন ব্যক্তির সংখ্যা এদেশে অনেক। চোখে চুলকানি বা লাল হয়ে যাওয়া, নাকে চুলকানি বা সর্দি ঝরা বা নাক বন্ধ থাকা, ত্বকে চাকা চাকা হলে ফুলে চুলকানি ও র্যাস, খুসখুসে কাশি, ধুলাবালি বা ফুলের রেণুর সংস্পর্শে এলে হাঁচিও কাশি- এগুলো সবই অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে।
ওষুধ দিয়ে অ্যালার্জির উপসর্গ দমানো যায় কিন্তু সুস্থ করা যায় না। এর উপসর্গ কমাতে হলে অ্যালার্জির কারণ জানতে হবে এবং অ্যালার্জি টেস্ট করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।
কাদের অ্যালার্জি টেস্ট করা প্রয়োজন: ওপরের লক্ষণগুলো শিশু বা বৃদ্ধ যাদেরই হোক না কেন তাদেরই অ্যালার্জি টেস্ট যেমন স্কিন প্রিক টেস্ট, স্ক্যাচ টেস্ট, চ্যালেঞ্জ টেস্ট করা হয়।
কীভাবে পরীক্ষা করা হয়: ডাস্ট, মাইট, ফুলের রেণু, ফাঙ্গাস, পতঙ্গ, ভেণ্ডার বা মৃত কোষ ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দিয়ে অ্যালার্জি টেস্ট করা হয়।
স্কিন প্রিক টেস্ট : সামান্য পরিমাণ অ্যালার্জেন রোগীর ত্বকে ঢুকিয়ে তা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় তা লক্ষ্য করা হয়। পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে এবং পরীক্ষার সময় শরীরে যে প্রতিক্রিয়া হয় তা এক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যায়।
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ ঢাকা।