আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন প্রদানকারী ঘনিষ্ঠভাবে গর্ভাবস্থাজুড়ে আপনার শিশুর ওপর নজর রাখবেন, নিয়মমাফিক আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় শিশুর বৃদ্ধির ট্র্যাক করা যেতে পারে এবং হার্টের অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থারজটিলতাপ্রতিরোধকরতে: তীব্র শারীরিক কার্যক্রম এড়িয়ে, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে। নিয়মিত দৈনিক তন্দ্রা উপকারে আসবে।
ওজন ঠিক পরিমাণে হওয়া, শিশুর বৃদ্ধি ও উন্নয়নে সমর্থন করে, কিন্তু অত্যধিক ওজন হার্টের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রদান করে।
ধূমপান, এলকোহল এবং অবৈধ ওষুধ এড়িয়ে চলুন।
কী লক্ষণ বা উপসর্গ দেখে আপনি ডাক্তারকে রিপোর্ট করবেন
শ্বাসকষ্ট
বুক ধড়ফড়, দ্রুত হৃদস্পন্দন বা অনিয়মিত নাড়ি
বুক ব্যথা
কাশির সঙ্গে রক্ত বা রাতে কাশি
প্রসব বেদনা ও প্রসবের সময়: উচ্চ ঝুঁকিতে গর্ভধারণের বিশিষ্ট একটি মেডিকেল সেন্টারে আপনার শিশুর জন্ম প্রদানের সুপারিশ করা হতে পারে, যেখানে নির্দিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আছেন। বিশেষ সরঞ্জামের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের ঝুঁকির ওপর নজর রাখতে পারবে।
আপনার শ্বাসতন্ত্রের ওপর চাপ বমাতে, Epidural আবেদন ব্যথানাশক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। কখনও কখনও ভ্যাকুয়াম বা সাঁড়াশির সাহায্য নেয়া হতে পারে।
বুকের দুধ খাওয়ানো ও শিশুর যত্ন নেয়া: হৃদরোগ আছে এমন অধিকাংশ নারীই বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। তবে হৃদরোগ চিকিৎসায় কখনও কখনও বিকল্প ওষুধ বাঞ্ছনীয়।
একটি সুস্থ গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করার উপায়: আপনার বিশেষজ্ঞ গর্ভাবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া এবং শিশুর যে কোনো ঝুঁকি কমানোর জন্য চিকিৎসা সমন্বয় করবেন। যদি কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বন্ধ করা সম্ভব না হয় তাহলে আপনার ডাক্তার গর্ভাবস্থার চিকিৎসা ঝুঁকি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন।
গর্ভাবস্থার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করতে করণীয়
* মাত্রাতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ
* ধূমপান নিষেধ
* সুনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ
গর্ভবতী থাকাকালীন আপনার করণীয়
* সুষম খাবার গ্রহণ
* ওজন নিয়ন্ত্রণ
* ব্যায়াম (কোনো নতুন ব্যায়াম করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলবেন)
* ধূমপান বন্ধ করুন।
লেখক : অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কার্ডিওলোজি বিভাগ, মুন্নু মেডিকেল কলেজ