কখনো কখনো দাঁত ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তবে সে জন্য হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ঠিক নয়। নিবন্ধনবিহীন টেকিনিশিয়ানরা অনেক সময় সাঁড়াশি দিয়ে অথবা যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত না করেই দাঁত তুলে নেন। দাঁতে যেকোনো শল্যচিকিৎসার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা জরুরি:
১. যে যন্ত্রপাতি দিয়ে দাঁত ওঠানো হবে বা সার্জারি করা হবে সেগুলো জীবাণুমুক্ত না থাকলে হেপাটাইটিস বি অথবা সি ভাইরাস এমনকি এইডসের মতো রোগ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। তাই যন্ত্রপাতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
২. ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ক্যানসার রোগী অথবা অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে আগে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা, ক্রিয়েটিনিন, রক্তচাপ, ক্লটিং টাইম, হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি পরীক্ষা করে নিতে হবে।
৩. ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। যাঁরা ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা দিনের প্রথমদিকে অর্থাৎ সকালের নাশতা ও ইনসুলিন নেওয়ার পর ডেন্টাল সার্জারি করাবেন।
৪. যাঁদের দাঁতের সার্জারি হবে, তাঁরা যদি রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন, চিকিৎসককে অবশ্যই জানাতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের মতামত নিয়ে ডেন্টাল সার্জারির পাঁচ দিন আগে থেকে ওই ওষুধগুলো খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। নইলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৫. যাঁরা ধূমপায়ী অথবা পানের সঙ্গে জর্দা সেবন করেন, তাঁদের অন্তত সাত দিন আগে এগুলো বন্ধ করতে হবে। নইলে সার্জারির পর ঘা বা ক্ষত শুকাতে দেরি হবে।
৬. গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সাবধানতা দরকার। এ ক্ষেত্রে পেনিসিলিন নিরাপদ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে।