অ্যাজমা হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত অসুস্থতা। যে নালীপথে বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করে সেই নালীগাত্র ফুলে গেলে বাতাস শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। কারও অ্যালার্জিক অ্যাজমা শনাক্ত হলে বোঝা যায়। কোনো অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে তার অ্যাজমার উপসর্গগুলো বেড়ে যায়। ধুলা, জীবাণু, ছত্রাক, প্রাণীর লোম, আরশোলা প্রভৃতির সংস্পর্শে অ্যাজমা বেড়ে যেতে পারে।
অ্যাজমা শনাক্ত করার উপায়
শ্বাসতন্ত্রের বেশ কিছু অসুখের একই রকম উপসর্গ থাকায় অ্যাজমা শনাক্ত হতে ভুল হতে পারে। নিচের উপসর্গগুলো কারও থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাজমা হয়েছে কিনা জানতে হবে।
কাশি : একনাগাড়ে বা বিরতি দিয়ে বা প্রতিদিন এই লক্ষণ না থাকলেও তা অ্যাজমার পূর্ব লক্ষণ বা কারণ হতে পারে।
শ্বাস-প্রশ্বাস : শ্বাস ফেলার সময় শন শন শব্দ বা হুইসেলের মতো আওয়াজ হলে কিংবা ছোট ছোট বা দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে অ্যাজমার কারণে এমনটি হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। এর সঙ্গে বুক চেপে ধরার অনুভূতিও থাকতে পারে।
ক্লান্তি : খিটখিটে মেজাজের কিংবা শিশুরা খেলাধুলা ছেড়ে দিলে তাও অ্যাজমার কারণে হতে পারে।
অধ্যাপকডা. গোবিন্দচন্দ্রদাস
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৭২১৮৬৮৬০