ডায়াবেটিস হলে রোগী রোজা রাখতে পারবে না এ কথা সঠিক নয়। কারণ ডায়াবেটিক রোগীকে রোজা রাখার পূর্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মুখে খাবার ওষুধ অথবা ইনসুলিন এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ নিয়ে রোজা শুরু করা উচিত।
ডায়াবেটিক রোগীরা ডায়াবেটিস জনিত বিভিন্ন জটিলতা যেমন রক্তের সুগারের স্বল্পতা কিংবা আধিক্য, ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস কিংবা পানি শূন্যতায় ভুগতে পারেন। যে সকল ডায়াবেটিক রোগী শুধুমাত্র খাবার ও ব্যয়ামের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখেন তারা রোজা রাখলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। যারা মেটফরমিন অথবা গ্লিপটিন জাতীয় ওষুধ খান তাদেরও সমস্যার সম্ভাবনা কম। কিন্তু সাবধান হতে হবে যারা সালফুনাইল-ইউরিয়া ও ইনসুলিন নিয়ে থাকেন। তাই ডায়াবেটিক রোগীদেরকে রমজান মাসের দুই তিন মাস আগ হতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পথ্য ওষুধ সম্পর্কে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
ডায়াবেটিস জীবনে শৃংখলাবোধ সৃষ্টি করে। খাবারের শৃংখলা, জীবন যাপনের শৃংখলা ও নৈতিক শৃংখলা সবই ডায়াবেটিকস রোগীরা শিক্ষা লাভ করে। সে ক্ষেত্রে রোজা রাখাই শ্রেয়। যারা সচরাচর কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোগে ভোগেন তারা ইফতারির সময় সালাদ, ফলের রস, কিংবা ইসুপগুলের ভুশি ও খাবারের সময় পর্যাপ্ত সবজি খাবেন।
রমজানের রোজা ইসলামের একটি অপরিহার্য ইবাদত। তাই অলসতা করে এবং কোনো অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে রোজা পালন থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। কারণ একমাস রোজা পালনের সময় আমাদের দেহ, মন ও আত্নার পরিশুদ্ধির একটি সুবর্ণ সুযোগ। একজন মুসলমান আল্লাহর বিধান তাক্কওয়ার ভিত্তিতে পালন করলে আল্লাহ তার প্রতিদান দেবেন। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর বিধান সঠিকভাবে পালন করার তৌফিক দান করুন আমীন।