অপুষ্টিজনিত কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু অ্যানিমিয়ায় ভোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৬ মাস থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুর হিমোগ্লোবিন মাত্রা যদি ১১ গ্রাম/ডেসি. লিটারের কম থাকে এবং ৬ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সীতে রক্তে হিমোগ্লোবিন লেভেল ১২ গ্রাম/ডেসি. লিটারের নিচে থাকে তবে সে অ্যানিমিয়ায় ভুগছে বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
শিশুর অসুস্থজনিত রক্তস্বল্পতার জন্য প্রধানত: আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি ১২, প্রোটিন ও ভিটামিন ই ঘাটতি মুখ্য কারণ।
রোগচিহ্ন: ৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়সে ও ১১-১৭ বছর বয়সের বা বয়ঃসন্ধিকালের শিশু আয়রন ঘাটতিজনিত রক্ত স্বল্পতায় ভোগে বেশি।
খিটখিটে মেজাজ, ক্ষিদে মন্দা, ফ্যাকাশে ভাব এগুলো হল প্রাথমিক উপসর্গ, পরবর্তীতে সে বুক ধড়পড়, শ্বাসকষ্ট, সামান্যতেই ক্লান্ত হওয়া, খেলাধুলায় হাঁপিয়ে ওঠা ও হার্টফেইলিউরের মতো লক্ষণাদি নিয়ে হাজির হয়।
রোগ প্রতিরোধ:
শিশুর প্রথম ০৬ মাস পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ পান, ০৬ মাস বয়স থেকে শিশুকে ঘরে তৈরি পরিপূরক খাবার খাওয়ানো শুরু করা।
যেসব শিশু স্বল্প জন্ম ওজন নিয়ে জন্মায় (জন্ম ওজন ২৫০০ গ্রামের কম) তাদের ০২ মাস বয়স থেকে আয়রন জোগানো।
প্রতি ৩-৪ মাস অন্তর শিশুকে কৃমির ওষুধ খাওয়ানো।
শিশুকে প্রয়োজনানুযায়ী আয়রন টেবলেট ও ফলিক এসিড প্রদান।
শিশুর প্রতিদিনের খাবারে সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও সল্ট ফোরটিফিকেশন, আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে সাহায্য করে।
অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী
বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ