নিউমোনিয়া ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণের ফলে এই অসুখ হয়ে থাকে। নিউমোনিয়ার তীব্রতা মৃদু হতে পারে, আবার প্রাণসংহারীও হতে পারে। আমাদের ধারণা, কেবল শিশুদেরই নিউমোনিয়া হয়, আসলে তা নয়। বয়স্ক ব্যক্তি, যাঁরা দীর্ঘদিন রোগে ভুগছেন এবং যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাঁরা জটিল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন।
কী ধরনের রোগজীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হয়েছে এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন, তার ওপর নিউমোনিয়ার তীব্রতা নির্ভর করে। এমনিতে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, কাঁপুনি ইত্যাদি নিউমোনিয়ার লক্ষণ। খুব বেশি জ্বর, প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
বৃদ্ধ ব্যক্তি, ধূমপায়ী, ফুসফুসে কোনো আঘাত পাওয়ার ইতিহাস, যাঁরা কেমোথেরাপি নেন বা এমন কোনো ওষুধ সেবন করেন যেটা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমায়—তাঁদের ক্ষেত্রে রোগটি জটিল হয়ে উঠতে পারে।
নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের সংক্রমণে বিশ্রাম নিন, প্রচুর পানি পান করুন এবং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় ও মেয়াদে ওষুধ সেবন করুন। বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস বা হাঁপানির রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। নিউমোনিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। বাইরে থেকে এসে ভালো করে পরিষ্কার করে হাত ধোবেন। পুষ্টিকর খাবার খান। ধূমপান বর্জন করুন। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করবেন। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ার টিকা নিয়ে নিন। ডায়াবেটিস, পুষ্টিহীনতা, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগের সঠিক চিকিৎসা নিন।
ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান
বক্ষব্যধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ