বর্ষাকালে বন্যার পানিতে হতে যেভাবে রক্ষা পাবে আপনার শিশু
বর্ষাকালে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর একটি বড় কারণ পানিতে ডোবা। কেবল গ্রামের শিশুরাই নয়, শহরের শিশুরাও বেড়াতে গিয়ে এমন করুণ মৃত্যুর শিকার হয়। কিন্তু এমন অবস্থায় শিশুকে পানি থেকে তুলে এনে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে মৃত্যুর হার অনেকটাই কমানো সম্ভব।
শিশু ডুবে গেলে দিশেহারা না হয়ে আশপাশের মানুষকে সাহায্যের জন্য ডাকুন ও যত দ্রুত সম্ভব তাকে পানি থেকে তুলে আনুন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। শিশুটির গায়ের ভেজা জামা-কাপড় পাল্টে শুকনো কাপড় বা চাদর জড়িয়ে দিন। এরপর তার মুখে ও নাকে কোনো ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করুন। শিশুটির নাকের কাছে হাত দিয়ে, কান নিয়ে অনুভব করুন তার শ্বাসপ্রশ্বাস চলছে কি না। পেটে চাপ দিয়ে পানি বের করা যায়। তবে এভাবে পানি বের করতে গিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসে দেরি হতে পারে, আবার পানি ফুসফুসে চলে যেতে পারে। তার চেয়ে মুখের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মুখ থেকে মুখে বা মুখ থেকে নাকে কৃত্রিম শ্বাস দিন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন এবং নেওয়ার পথেও কৃত্রিম শ্বাস চালিয়ে যান।
শিশুরা পানিতে পড়লে মুহূর্তের মধ্যেই তার মৃত্যু হতে পারে। খুব অল্প পানিতেও শিশু মারা যেতে পারে। তাই চিকিৎসার চেয়ে এর প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ জন্য পুকুর কিংবা জলাশয়ের চারপাশে সীমানা দিতে হবে। ১ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুরা যেন জলাধারের কাছে একা না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ডা. আবু সাঈদ শিমুল
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল