নিত্যদিনের মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ উদ্বেগ ও মানসিক চাপ, যাকে বলে টেনশন হেডেক। এই অসুখ সারাতে ব্যথানাশক বড়ি সেবনের পরিবর্তে অন্য কোনো উপায় আছে কি? কয়েকটি পদ্ধতি অনুশীলন করে স্বস্তি পেতে পারেন:
মালিশ বা ম্যাসাজ: এতে মাথা ও কপালের মাংসপেশিগুলো শিথিল হয়। ফলে রক্তনালিতে রক্তপ্রবাহ বাড়ে। তাই হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও তর্জনীর সাহায্যে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করলে স্বস্তি মেলে।
শিথিলায়ন :শিথিলায়ন ব্যায়াম রক্তে নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদানের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং মাথাব্যথা কমায়। এ জন্য বুকভরে গভীর শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এভাবে বেশ কয়েকবার অনুশীলন করুন।
হাসি: প্রাণভরে হাসুন। হাসি-খুশি থাকলে এন্ডারফিন নামের রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত হয়। এটা আপনার শরীরের ব্যথা-বেদনা কমিয়ে আনন্দময় অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। একইভাবে উল্টোটা, মানে মন খারাপ বা মেজাজ খারাপ করে থাকলে, ভ্রু কুঁচকে থাকলে মাথাব্যথা আরও বাড়বে।
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। ঘুমের ব্যাঘাত মাথাব্যথার কারণ। তাই যত কাজই থাকুক, রাত জাগবেন না। রাত জেগে টিভি দেখা, কম্পিউটারে কাজ করা বা ফেসবুক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
গান শুনুন: বিদেশি গবেষণা বলছে, হালকা বা মৃদুলয়ের গান মাথাব্যথার তীব্রতা প্রায় ১৭ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। কাজের ফাঁকে ঘর অন্ধকার রেখে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ গান শুনুন।
চাপ নেবেন না: সংসারে বা কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ থাকেই। যে পরিস্থিতিতে চাপ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়, সেখান থেকে সরে আসুন। প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে পড়ুন। মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে নিন। প্রিয়জন বা বন্ধবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটান। মাঝে মাঝে ছুটি নিন।
ডা. মো. মাইদুল ইসলাম
মেডিসিন বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল