রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। ভোরের দিকে বেশি ঘুমায়। তারপর ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলে, ঘুমভাব কাটানোর জন্য তারা হাইপারঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে। এর ফলে স্কুলে গিয়ে তারা কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারে না। বয়স অনুযায়ী শারীরিক বিকাশ হয় না।
অ্যাপনিয়া মানে ‘স্টপেজ অব রেসপিরিশন’। ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা দিলে তাকে আমরা সাধারণভাবে স্লিপ অ্যাপনিয়া বলে থাকি। স্লিপ অ্যাপনিয়া প্রধানত তিন ধরনের, নিউবর্ন বেবি বা প্রিম্যাচিওর বেবির ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল অ্যাপনিয়ার সমস্যা দেখা দেয়।
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে ঘন ঘন নিঃশ্বাসের অসুবিধা দেখা যায়। মিক্সড স্লিপ অ্যাপনিয়াতে প্রথমে অসুবিধা না হলেও, পরের দিকে অসুবিধা শুরু হয়। শিশুদের মধ্যে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
কারণ ও লক্ষণ:
ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগলে গলার অ্যাডিনয়েড ও টনসিল গ্লান্ডগুলো ফুলে বড় হলে এ সমস্যা দেখা দেয়। শিশুর ঠাণ্ডা লাগলে রাতে ঘুমানোর সময় নাকে ঘড়ঘড় শব্দ হয়। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার এটাই সবচেয়ে বড় লক্ষণ।
অতিরিক্ত ওজনের কারণেও স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। সেরিব্রাল পলসি, ডাউনস সিন্ড্রোম, ফেস ডিফরমিটি, দাঁতের বিশেষ সমস্যা থাকলেও অবস্ট্রাকটিভ øিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে।
রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। ভোরের দিকে বেশি ঘুমায়। তারপর ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলে, ঘুমভাব কাটানোর জন্য তারা হাইপারঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে। এর ফলে স্কুলে গিয়ে তারা কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারে না। বয়স অনুযায়ী শারীরিক বিকাশ হয় না। অনেক সময় ঘুমের মধ্যে বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলে। মুখ হা করে ঘুমায়।
নাকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে শুরুতেই চিকিৎসা করিয়ে নিন। প্রথমদিকে অ্যাডিনয়েড এনলার্জমেন্ট ধরা পড়লে প্রতিরোধ সম্ভব।
ওজন বাড়তে দেবেন না।
শিশুকে শুয়ে বা ঘুমন্ত অবস্থায় বুকের দুধ খাওয়াবেন না। বোতলের দুধ খাওয়ানোর সময়েও শিশু যেন ঘুমিয়ে না যায় বা শুয়ে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে পারলে ভালো হয়। এছাড়া সঠিক সময়ে টিকা দিন।
শিশুর সামনে ধূমপান করবেন না। অ্যালার্জি থাকলে ধুলা থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
নন-সার্জিক্যাল চিকিৎসা:
নাকের অ্যালার্জির চিকিৎসা করানো।
অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা।
CPAP বা BIPAP ডিভাইসের মাধ্যমে চিকিৎসা করানো হয়। অবশ্য শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের চিকিৎসা খুবই কম হয়।
সার্জিক্যাল চিকিৎসা: নাকের অ্যালার্জির চিকিৎসার পরেও অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা দেখা দিলে, অ্যাডিনয়েড বা টনসিল রিমুভ করার পরামর্শ দেয়া হয়। অ্যাডিনয়েডের সঙ্গে দুটো টনসিলই রিমুভ করা দরকার। কারণ শুধু অ্যাডিনয়েড রিমুভ করা হলে টনসিল এনলার্জ হয়ে যেতে পারে।