নারীদের, বিশেষ করে মাঝবয়সী কিছু নারীর মাঝেমধ্যেই পা ফুলে যাওয়ার তেমন কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। পায়ে পানি আসা বা টস টস করা বা আঙুল দিলে দেবে যাওয়া এই সমস্যার লক্ষণ। পায়ে পানি জমলে কিডনি, যকৃৎ, হার্টের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়, মেয়েদের থাইরয়েড পরীক্ষা তো খুবই জরুরি। কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও এমন হয়। আবার লসিকগ্রন্থির কোনো সমস্যা, সংক্রমণ বা শিরার সমস্যার কারণেও কখনো কখনো পা ফুলতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও অনেকের পা ফোলার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। চিকিৎসকেরা এর নাম দিয়েছেন ইডিওপ্যাথিক ইডিমা বা কারণহীন পানি জমা।
মধ্যবয়স্ক নারীরাই এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। দেখা যায়, দিনের শেষে তাঁদের শরীর ভারী হয়ে আসছে, পা ফুলে যাচ্ছে, জুতো আঁটছে না, এমনকি কারও হাতের আংটি আঁটসাঁট হয়ে যাচ্ছে। আবার দিনের শুরুতে কমে যাচ্ছে। মাসিকের আগে-পরে সমস্যা বেশি প্রকট হয়ে দেখা দেয়।
* হঠাৎ করে শরীরে পানি জমলে অবশ্যই আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
* কোনো কারণ পাওয়া না গেলে বা মাঝেমধ্যে এমন হলে ইডিওপ্যাথিক ইডিমা ধরে নেওয়া যেতে পারে।
* এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। ওজন কমান। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা বা রান্নাবান্না করা এড়িয়ে চলুন। এমন কাজ করতে হলে মাঝেমধ্যে বিরতি নিন বা বসুন।
* কেউ কেউ টাইট মোজা পরতে পারেন। বিকেলের দিকে জামাকাপড় আঁটসাঁট হয়ে যায় বলে একটু ঢিলে জামা পরবেন।
* লবণ খাওয়া কমান। বাড়তি লবণ বাদ দিন। বরং পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খান। কলা, টমেটো ইত্যাদি ফলে ও সবজিতে পটাশিয়াম আছে।
* পানি বের করার জন্য না জেনেবুঝে ডাইইউরেটিক গোত্রের ওষুধ খাবেন না। এতে অনেক সময় হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা