কেউ যদি ঘনঘন গলাব্যথা ও জ্বরে ভোগে, ঢোক গিলতে ও খাবার খেতে কষ্ট হয় তবে টনসিলে প্রদাহ বা ইনফেকশন আছে কিনা তা পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত।
টনসিলেরকাজ
টনসিল জন্মের পূর্ব থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে এবং জন্মের দুই বছর বয়স পর্যন্ত এ অঙ্গ এ কাজ করে। তবে টনসিল যদি বারবার ইনফেকটেড হয় তবে রোগ প্রতিরোধ গড়ার পরিবর্তে এ অঙ্গ রোগজীবাণুর ঘাঁটি হয়ে যায়।
টনসিলঅপারেশনকখনপ্রয়োজন
গলার পেছনে থাকে টনসিল ও নাকের পেছনে থাকে এডেনয়েড। এ দুটি অঙ্গ জীবাণুর কারণে বড় হয়ে গেলে শ্বাসের রাস্তা ও খাদ্য গ্রহণের পথ বাধাগ্রসস্ত হয়। ফলে রোগী খেতে অস্বস্তিবোধ করবে এবং বাচ্চা ঘুমের মধ্যে হাঁ করে শব্দ করে ঘুমাবে।
এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধন হয়। এ অবস্থায় টনসিল অপারেশন করে নেয়াই যুক্তিযুক্ত।
অপারেশনেরপর
অধিকাংশ রোগী অপারেশনের পরই বাড়ি ফিরে যেতে পারে। নির্দেশমতো এন্টিবায়োটিক ও ব্যথা উপশমরে জন্য কমপক্ষে ৭-৮ দিন নিয়মিত ব্যথার ওষুধ ক্ষেতে হবে। এ সময় ধূমপান ও উত্তেজক পানি গ্রহণ না করাই উত্তম। ঝাল জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
যদি রক্তক্ষরণ হয় তবে বরফ পানি দিয়ে গড়গড়া ও কুলি করুন।
অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমিন
নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
ইমপালস হাসপাতাল, তেজগাঁও, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭১৫০১৬৭২৭।