আমাদের দেহে এমন কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা আছে যেগুলো দেখা দিলে তার লক্ষণগুলো প্রথমে ত্বকেই ভেসে উঠে। ত্বক আপনার দেহের ভেতরে কী ঘটছে তার একটি আয়না স্বরূপ। এই লক্ষণগুলো সময় মতো শনাক্ত করতে হবে। যাতে সফলভাবে দেহের আভ্যন্তরীণ রোগগুলোর চিকিৎসা করা যায়।
ডার্কস্পট: হঠাৎ করেই ত্বকে আবির্ভূত ডার্ক স্পট হতে পারে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির বহিরাংশের নিষ্ক্রিয়তাজনিত এক মারাত্মক ব্যাধির লক্ষণ। এই রোগে আক্রান্ত হলে লোকের মাংসপেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এতে ক্ষুধামন্দা, দুর্বলতা এবং ওজন হ্রাসের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাদাদাগ: ত্বকের স্বাভাবিক রং হারিয়ে সাদা দাগ পড়লে তা ভিটিলিগো নামের একটি রোগের লক্ষণ। দেহের রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতি যখন মেলানোসাইটস নামের কোষগুলোকে হত্যা করে তখন এই লক্ষণ দেখা দেয়।
র্যাশ : হঠাৎ করেই যদি ত্বকে কোনো র্যাশ দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার দেহের ভেতরে কিছু একটা গোলমাল চলছে। এটা হতে পারে কোনো খাবার, ঘরোয়া রাসায়নিক, চিকিৎসার ওষুধ, সংক্রামক রোগ এবং এমনকি চিকেন পক্সের প্রতি এলার্জি থেকে।
ফোলা: ত্বকের ফোলা বা পানি জমার মতো এমন লক্ষণ দেখা গেলে একজন এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কারণ এটি হতে পারে হাইপোথাইরয়েডিজম এর লক্ষণ।
আঁচিল বা তিল : আপনার দেহে যদি আঁচিল বা তিলের সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে তা হতে পারে বেশি বেশি অতিবেগুনি রশ্মি পড়ার ফলে বা হরমোনগত ভারসাম্যহীনতার কারণে।
ব্রণ: ব্রণ হওয়ার অনেক কারণ আছে। ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের ফলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে যেমন হয় তেমনি হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হলে বা হজম প্রক্রিয়ায় গণ্ডগোল হলেও ব্রণ হতে পারে।
আঁশওঠা: ভিটামিনের ঘাটতি, হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা, এলার্জির প্রতিক্রিয়া, ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিস এবং আরও কিছু রোগের কারণে ত্বকের আঁশ ওঠে।
অতিরিক্তঘামঝরা: যদি ভালোভাবে বাতাস চলাচল করে এমন একটি ঘরে থাকার পরও খুব বেশি বেশি ঘামতে থাকেন তাহলে তা গলগণ্ড রোগের লক্ষণ। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির একটি রোগ।
ডা. দিদারুল আহসান,
ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ
আল রাজী হাসপাতাল, ঢাকা।
মোবাইল ফোন : ০১৭১৫৬১৬২০০।