গলার পেছনে টনসিল ও নাকের পেছনে এডেনয়েডে বারবার ইনফেকশন হলে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে। এ সার্জারিতে শরীরের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না বরং এডেনয়েড ফেলে দিলে কানের ইনফেকশন কম হয়।
অপারেশনেসুবিধা
অধিকাংশ রোগী অপারেশনের পরদিনই বাড়ি যেতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথার ওষুধ গ্রহণ করলে ব্যথা বাড়বে না।
স্বাভাবিক খাবার খাওয়া যায়। তবে ঝাল জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
যদি রক্তক্ষরণ হয় তবে বরফ দিয়ে গড়গড়া করান এবং কুলি করান। রক্তপাত বন্ধ না হলে ডাক্তার দেখান।
টনসিলেরকাজ
এটি আমাদের জন্মের পূর্বে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত। জন্মের পর এগুলোর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। মনে রাখা দাকার, বারবার টনসিলে ইনফেকশনের ফলে যদি এ অঙ্গ জীবাণুর ঘাঁটি হয়ে যায় তবে রোগ প্রতিরোধের পরিবর্তে রোগ জন্ম দেয়।
বাচ্চারা ঘন ঘন সর্দিকাশিতে ভুগতে টনসিল, এডেনয়েড আকারে বড় হয়ে যায়। বাচ্চা অসুখ-বিসুখে না ভুগলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অঙ্গ ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে যায়। এ দুটি অঙ্গ বারবার অসুখে আক্রান্ত হলে শিশু মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অধ্যাপক ডা. জাহীর আল আমিন
নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
বিভাগীয় প্রধান, বারডেম,
মোবাইল ফোন : ০১৭১৫০১৬৭২৭