ঘরের ঝুল পরিষ্কার করছেন বা পুরনো খাতাপত্র গোছগাছ করছেন, শুরু হল হাঁচি ও পরে শ্বাসকষ্ট। ধুলাবালিকে এড়িয়ে চলা যায় না। বাসা, অফিস, রাস্তা সর্বত্রই এর মুখোমুখি হতে হয়। ধুলো অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমার প্রধান কারণ। ঘরের ধুলোর আর্থোপডজাতীয় পোকা, ফুলের রেণু, পোষা জন্তুর লোম, ফাংগাস, ব্যাকটেরিয়া থেকে হাঁচি-কাশি হতে পারে।
বিছানা, বালিশ, কার্পেট হল মাইটের আদর্শ বাসস্থান। রাতে বিছানায় শোয়ার সময় আমরা মাইটের সবচেয়ে কাছে থাকি বলে রাতে হাঁপানির কষ্ট বেড়ে যায়।
প্রতিকার: বাসা থেকে কার্পেট, লোমওয়ালা পোষা প্রাণী সরিয়ে ফেলতে হবে। তোশক-বালিশে চেন-টানা ধুলো প্রতিরোধক ঢাকনা ব্যবহার করতে হবে। অ্যাজমা রোগীদের ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। তবে রোগী যেন ঘর পরিষ্কার বা ঝাড়ার কাজ না করে। যদি করতেই হয় তবে মুখে ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করবে।
ওষুধ: এন্টিহিস্টামিন ও স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। যতদিন ব্যবহার করা যায় ততদিন এ রোগী ভালো থাকে। অনেকের ধারণা, অ্যালার্জিজনিত রোগ একবার হলে আর সারে না। অবহেলা করলে এবং চিকিৎসা না করালে এর জটিলতা বাড়তে পারে।
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস,
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ
দি অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার,
পান্থপথ, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৭২১৮৬৮৬০৬
©2014 Copyright by Micron Techno. All rights reserved.