একজন মা গর্ভবর্তী হওয়া মানে তার ভেতরে একজন শিশু যেমন বেড়ে ওঠে, একইসাথে একজন মা-ও বেড়ে ওঠেন। তাই মায়ের যত্ন নেয়া উচিত একটু বেশী করে। একজন সন্তানসম্ভবার জন্য সবচেয়ে বড় দুর্ভাবনার বিষয় হলো মিসক্যারিজ বা গর্ভপাত। গর্ভপাত যে একজন মায়ের জন্য কতটা কষ্টকর, তা ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারেন। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
কিছুফলথেকেসাবধান: গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম তিন মাসে আনারস খাওয়া উচিত নয়। আনারসের অ্যালার্জিক উপাদান 'ব্রোমেলাইন'-এর কারণে ডায়রিয়া, অ্যালার্জি এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত হতে পারে। লোঙ্গান নামক এক ধরনের বিদেশি ফল, যা আমাদের দেশে ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, গর্ভধারণের সময়টিতে খাওয়া ঠিক নয়। কাঁচা পেঁপের মধ্যস্থ প্রস্টগ্রান্ডিন এ অক্সিটোসিন গর্ভাশয়ের সংকোচন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এ জন্য কাঁচা পেঁপেও এ সময়ে না খাওয়া উত্তম। ক্যামেরিয়া নামক টক জাতীয় বিদেশি ফল, যা গর্ভবতী মায়েরা বমি ভাব কাটাতে ব্যবহার করে থাকেন।
অ্যালকোহলবাঅ্যালকোহলযুক্তওষুধ:অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় কিংবা অ্যালকোহলযুক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং এসব খাবার শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী হতে পারে।
ক্যাফেইন:অত্যধিক ক্যাফেইন পানে মায়ের হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এর কারণে নিদ্রাহীনতা ও মাথাব্যথার উদ্রেক হতে পারে। ক্যাফেইন অপরিণত শিশু হওয়া থেকে শুরু করে গর্ভপাত পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
অপাস্তুরিতদুধওপনির:অপাস্তুরিত দুধে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া (ব্রুসেলা, টিবি) থাকতে পারে, যা গর্ভধারণে মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। অনেক সময় পনির তৈরি হয় অপাস্তুরিত দুধ থেকে। এ জন্য পনির গর্ভকালে এড়িয়ে চলা উচিত।
সামুদ্রিকমাছ:সামুদ্রিক কিছু মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে, যা খেলে শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
কিছুওষুধ: লিথিয়াম, সোডিয়াম ভেলোপ্রয়েট, সেনা এসব ওষুধ গর্ভধারণের সময়টিতে সেবন করা যাবে না। রোগের কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
আধাসেদ্ধখাবার: আধা সেদ্ধ খাবার বিশেষ করে কাবাব খেতে হবে ভেবেচিন্তে। আধা সেদ্ধ কাবাবের মাংস থেকে টক্সোপ্লাজমা নামক পরজীবী মায়ের শরীরে প্রবেশ করে ভ্রূণের ক্ষতি করে থাকে।