বাচ্চাদের দুধদাঁত যা সাধারণত ছয় মাস বয়স থেকে মুখের ভেতরের চোয়ালের ওপর দৃশ্যমান হয় তা কখনও কখনও জন্মের পরপরই দৃষ্টিগোচরে আসতে পারে।
শুধু দাঁতই নয়, সদ্যজাত শিশুর ঠোঁট, চোয়াল, জিহ্বা প্রভৃতির যত্ন ও পরিষ্কার করার যে দায়িত্ব শিশুর অভিভাবকরা গ্রহণ করেন সেটি সাত-আট বছর পর্যন্ত তাদেরই করে যাওয়া উচিত। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের বেলায় যত্নের এ সময় সীমা বাড়াতে হয়, অনেক সময় আজীবন পর্যন্তও।
বাচ্চাদের দুধদাঁতগুলো ছয়-সাত বছর থেকে পর্যায়ক্রমে পড়া শুরু করে এবং পেছনের দুটি এগারো-বারো বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।
এ দাঁতগুলোকে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয় এ জন্য যে, ওই বয়স পর্যন্ত দাঁতগুলো শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। তাছাড়া দাঁতের মধ্যম স্থানে যে দন্তমজ্জা থাকে তার রক্তনালি ও স্নায়ু জীবাণু সংক্রমণ থেকে দাঁত ও মাড়িকে রক্ষা করে। দন্তমজ্জার সংক্রমণে শিশুদের শরীরের সুরক্ষা ব্যাহত হয়। তাই শিশুদের দাঁতের যত্ন নিন, যেন তারা মুক্তার মতো দাঁতের হাসিতে আমাদের চারপাশ আলোকিত করতে পারে। তাদের দাঁত যেন থাকে ক্ষয়হীন, গর্তহীন ও ব্যথাহীন। কখন, কীভাবে এ কাজগুলো করবেন তা জানতে হলে সাহায্য নিন, সরকারস্বীকৃত দন্ত চিকিৎসকের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের অধিভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও সেবা কেন্দ্রের এবং বিভিন্ন সংগঠন ও পত্রিকার পুস্তিকা ও প্রকাশনার।
অধ্যাপক ডা. উম্মে সালমা আবদুল্লাহ (অনিন্দিতা আবদুল্লাহ)
পরিচালক (ডেন্টাল), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও উপদেষ্টা (বাফোপ)