এই গরমে চিকেনপক্স রোগের উপর্সগ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
বসন্তকাল মানেই চার দিকে সাজ সাজ রব। ফাগুনের মৃদু শীতোষ্ণ আবহাওয়ায় ভালো লাগার এক দারুণ অনুভূতিতে ছেয়েযায় দেহমনে। কন্তিু এ সময়টাতে বিশেষ আমাদের দেশে ঝড়ের মতো ছোবল মারে যে রোগটি তার নাম জলবসন্ত। মূলত সব ঋতুতে এ রোগ কম-বেশি হরেও শীতের শেষে ও বসন্তকালে তা মহামারী আকার ধারণ কর। চকিনেপক্স বা জলবসন্ত অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। ভরেসিলো জোস্টার নামক এক ধরনরে ভাইরাস এ রোগরে কারণ। এ রোগরে প্রথম ববিরণ পাই আমরা ৯০০ শতাব্দীত।
তখন এটাকে এক ধরনরে শান্ত প্রকৃতরি গুটবিসন্তই বলা হতো। কন্তিু ১৭৬৫ সালে ভোগলে এটার নামকরণ করনে ‘ভরেসিলো’। ১৭৬৬ সালে মরটমে এর নাম দনে ‘চিকেপক্স’।
১৯৬৭ সালে হবোরডনে গুটিসন্ত বা স্মলপক্সরে সাথে চিকেপক্সের র্পাথক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এক সম্মেলনে ঘোষণা দেয় পৃথিবী থেকে সর্ম্পূণ নিমূল হয়েছে স্মলপক্স। কন্তিু চিকেপক্সনর্মিূল করা সম্ভব হয়নি। নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোতে চিকেপক্স বা জলবসন্ত এক মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। ভীষণ ছোঁয়াচে এ রোগটি ১০ বছরের নিচের শিশুদের সবচেয়ে আক্রমণ করে বেশি। তবে সব দেশে সব ধরনের লোকের মাঝে এ রোগের সংক্রমণ লক্ষ করা যায়। কেউ যদি এ রোগে আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান করে সওে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়। তবে একবার কেউ আক্রান্ত হলে তার শরীরে ওই ভাইরাসরে বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির ফলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার তেমন সম্ভাবনা থাকে না।
রোগরেউপর্সগকী
১. প্রধান উপর্সগ হলো জ্বর এবং শরীরের্ র্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠা। শরীর ম্যাজম্যাজ করে, ব্যথা হয়।
২.র্যাশ বা ফুসকুড়ি প্রথম দিনেই উঠতে পার। পিঠে ও বুকে এগুলো প্রথম দেখা যায়, পরে মুখে ও মাথায় ওঠ।
৩. পায়রে তলা ও হাতরে তালুতে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
৪. সাধারণত প্রথম দিনে ফুসকুড়ি গুলোর মধ্যে পানি জমা হতে থাক- দেখেতে ফোস্কার মতো হয়। কোনো কোনো ফুসকুড়ি তরল পর্দাথর্পূণ, কোনো কোনোটি পুঁজে র্পূণ হয়।
৫. তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফুসকুড়ি পুরোপুরি বিস্তার লাভ করে এবং সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
৬. শরীর চুলকাতে থাকে।
৭. এরপর ধীরে ধীরে ফুসকুড়ি শুকাতে শুরু করে এবং শুকানোর পর আস্তরণগুলো ঝরে যেতে থাকে।সাধারণত দু’সপ্তাহরে মধ্যে শরীররে সব আস্তরণ ঝরে যায়।
কীভাবেএরোগছড়ায়?
১. চকিনেপক্সে আক্রান্ত রোগীর হাঁচি ও কাশি থাকে।
২. আক্রান্ত রোগীর সংর্স্পশে এলে।
৩. আক্রান্ত রোগীর ব্যবহূত জিনিস র্স্পশ করলে। আক্রান্ত রোগীর নি:শ্বাস বা বাতাসে থাকে।
৪. আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান করলে সেখানকার বাতাসরে মাধ্যমে।
৫. আক্রান্ত রোগীর শরীরে ফুসকুড়ি ওঠার পাঁচ দিন আগে থেকে এবং ফুসকুড়ি শুকিয়ে যাওয়ার ছয় দিনের মধ্যে কেউ সংর্স্পশে এলে মনে রাখতে হবে ভেরসিলো ভাইরাস শরীরে প্রবশে করার সাথে সাথে উপর্সগ দখো দেয় না। সাধারণত ১৪-২১ দিন (মোটামুটিভাবে ১৭ দিন) পর্যন্ত রোগটি শরীরে সুপ্তাবস্থায় থাক।পরে ধীরে ধীরে উপর্সগ দেখা দেয়।
রোগের চিকিৎসাকী?
চিকেপক্সের রোগী সাধারণত এমনতেই ভালো হয়ে যায়। তবুও সর্তকতার প্রয়োজন রয়েছে। রোগীর কষ্ট লাঘব করার জন্য এবং পরর্বতী সময়ে যাতে ইনফকেশন না হয়, সে জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
১. রোগীকে প্রথমত আলাদা ঘরে রাখতে হবে। রোগীর ত্বক পরস্কিার-পরচ্ছিন্ন রাখার জন্য প্রতিদিন বিছানার চাদর বদলাতে হবে।
২. চুলকানরি জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খেতে হবে।
৩. জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসটিামল খাওয়া যেতে পারে।
৪. ইনফকেশন রোধ করার জন্য চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী পাঁচ-সাত দিন এন্টিবায়োটিক খেতে হবে।
৫. ত্বকে ইনফকেশন হলে মুখে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে ক্লোরহক্সেডিনি অ্যান্টসিপেটকি মলম লাগানো যেতে পারে।
রোগটিপ্রতিরোধকরাকিসম্ভব?
চিকেনপক্স যেহেতু সংক্রামক ব্যাধি। তাই যেসব কারণে চিকেনপক্স হতে পারে সে কারণগুলো সর্ম্পকে সর্তক থাকলে এবং সইে মতো সাবধানতা অবলম্বন করলে চিকেনপক্সের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে যেসব শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ‘হউিম্যান অ্যান্টিভেরিসেল ইমিউনোগ্লোবিন’ ইনজকেশন দেয়া যেতে পারে। ‘ভেরিলরিক্স’ নামক একটি ভ্যাকসনি পাওয়া যায়, যা শিশুদের কিংবা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাউকে চিকেনপক্সের হাত হাত থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করব। এ রোগরে ফলে যসেব জটিলতা দেখা দিতে পারে-
ডা: মিজানুর রহমান কল্লোল
সহযোগী অধ্যাপক
র্অথোপডেকিস ও ট্রমাটোলজি বভিাগ,
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
পপুলার ডায়াগনস্টকি সেন্টার লি:, ২ ইংলশি রোড, ঢাকা