কোমর ব্যথা খুবই পরিচিত সমস্যা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি আমাদের প্রতিদিনের চলাফেরা-ওঠাবসার সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এই সমস্যা সাধারণ ওষুধ, নিয়মকানুন ও ব্যায়ামের মাধ্যমেই সেরে যায়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোমরব্যথার কারণ গুরুতর হতে পারে। কখন বুঝবেন এই কোমরব্যথাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার?
এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা কিছু বিপদচিহ্ন বা সতর্কসংকেত সন্ধান করেন। জেনে নিন সেগুলো:
বয়স ২০ বছরের কম ও ৫০ বছরের বেশি হলে কোমরব্যথার কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি। ব্যথার ধরন বা তীব্রতা যদি সব সময় একই রকম থাকে বা ধীরে ধীরে বাড়তেই থাকে এবং বিশ্রাম নিলেও উন্নতি না হয়, সেটাকে বিপৎ সংকেত হিসেবে ধরে নিতে হবে। বড় কোনো আঘাতের ইতিহাস থাকলে, কোমরব্যথার পাশাপাশি বুকে ব্যথা হলে, রোগীর আগে কখনো যক্ষ্মা হয়ে থাকলেও বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। ক্যানসার, অস্টিওপোরোসিস, এইডস, দীর্ঘকাল স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবনের ইতিহাস থাকলে কোমরব্যথাকে অবহেলা করা চলবে না। ব্যথার পাশাপাশি জ্বর, শরীরের ওজন হ্রাস, অরুচি, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে এবং ব্যথাটা কোমর ছাড়িয়ে পায়ের দিকে—বিশেষ করে এক পায়ের হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ছড়ালে অথবা এক পায়ে তীব্র ব্যথা বা অবশভাব হলে সতর্ক হতে হবে। প্রস্রাব বা পায়খানার সমস্যা, মলদ্বারের আশপাশে বোধহীনতা, মেরুদণ্ডে বক্রতা, পায়ের দুর্বলতা বা পায়ের মাংসপেশির শুষ্কতা ইত্যাদি উপসর্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
কোমরব্যথার সঙ্গে উল্লিখিত যেকোনো উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডা. রওশনআরা
মেডিসিন ও বাতরোগ বিশেষজ্ঞ
গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল