আর সব বাচ্চা কেমন ‘নাদুস-নুদুস’, কেবল আমারটাই ‘হ্যাংলা’—এই অভিযোগ প্রায় সব মায়ের। শিশুর ওজন ও স্বাস্থ্য নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কিন্তু আসলে ‘নাদুস-নুদুস’ মানেই সুস্থ নয়। আবার ‘হালকা-পাতলা’ মানেই শিশুর ভগ্নস্বাস্থ্য, তা-ও নয়। জন্মের পর শিশুরা যে হারে বাড়ে, দুই বছর বয়স পেরোনোর পর আর সেই হারে বাড়ে না। আসলে এটা কোনো সমস্যা নয়। জন্মের পর প্রথম ছয় মাসে শিশুর ওজন প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার কথা। আর এক বছর পর তিন থেকে চার গুণ। এরপর কিন্তু ওজন অত দ্রুত বাড়ে না। এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম, তাই দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তবে দুশ্চিন্তা আর বিভ্রান্তির সবচেয়ে বড় কারণ হলো, শিশুর ওজন সম্পর্কে মায়েদের সঠিক ধারণার অভাব। সেই ধারণা দিতে বয়স অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত, তা এখানে তুলে ধরা হলো—
এই তালিকা দেখে শতাংশ বের করুন। শিশুর আদর্শ ওজনকে ১০০ শতাংশ ধরে ঐকিক নিয়মে যে কেউ শতাংশ বের করতে পারবেন। শিশুর ওজন আদর্শ ওজনের ৮০ শতাংশের কম হলে তাকে মোটামুটি অপুষ্টি বলে আর ৬০ শতাংশের কম হলে মারাত্মক অপুষ্টি বলে ধরে নিতে হবে। আর তা না হলে শিশু যদি হালকা-পাতলা আর হ্যাংলাও হয়, বুঝতে হবে আপনি অহেতুক দুশ্চিন্তা করছেন।
বয়স ছেলেদের (আদর্শ) মেয়েদের (আদর্শ)
গড়ওজনগড়ওজন
৬ মাস ৭.৮ কেজি ৭.২ কেজি
১ বছর ১০.২ কেজি ৯.৫ কেজি
২ বছর ১২.৩ কেজি ১১.৮ কেজি
৩ বছর ১৪.৬ কেজি ১৪.১ কেজি
৪ বছর ১৬.৭ কেজি ১৬ কেজি
৫ বছর ১৮.৭ কেজি ১৭.৭ কেজি
৬ বছর ২০.৬৯ কেজি ১৯.৫ কেজি
৭ বছর ২২.১ কেজি ২১.৯ কেজি
৮ বছর ২৫.৩ কেজি ২৪.৮ কেজি
৯ বছর ২৮ কেজি ২৬ কেজি
১০ বছর ৩২ কেজি ৩২ কেজি
১১ বছর ৩৬ কেজি ৩৫ কেজি
১২ বছর ৪৫ কেজি ৪৪ কেজি