মাথাব্যথা, বিশেষত মাইগ্রেন ও উদ্বেগজনিত ব্যথা বা টেনশন হেডেক কমাতে নানা ধরনের ব্যায়াম ও শিথিলায়ন আসলেই কার্যকর। এটা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটিতে অভ্যস্ত ব্যক্তিরা মাথাব্যথায় তুলনামূলক কম আক্রান্ত হন। আসুন জেনে নিই মাথাব্যথা থেকে রেহাই পাওয়ার কয়েকটি উপায়—
গভীরশ্বাসেরব্যায়াম: একটি নিরিবিলি ঘর বেছে নিন। মেঝেতে কার্পেট বিছিয়ে আরাম করে বসুন। তারপর গভীরভাবে একবার পাঁচ পর্যন্ত গুনতে গুনতে শ্বাস নিন। তারপর আবার পাঁচ গুনতে গুনতে শ্বাস ছাড়ুন। লক্ষ রাখবেন, শ্বাসটা যেন আপনার পেটের ভেতর থেকে আসে। এভাবে বেশ কয়েকবার শ্বাস-প্রশ্বাসের এই ব্যায়াম বা রিদমিক ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন।
মাংসপেশিরশিথিলায়ন: চোখ বন্ধ রেখে চিত হয়ে শুয়ে মাথাব্যথার কেন্দ্রবিন্দুটি স্থির করুন। এবার গভীরভাবে শ্বাস নিতে নিতে চেষ্টা করুন মাংসপেশিগুলোকে শিথিল করে দিতে। ঘাড়ের ওপর মাথা ধীরে ধীরে চারদিকে ঘোরান। তারপর কাঁধ উঁচু-নিচু করার ব্যায়াম করুন। মনে মনে কোনো সুন্দর ভাবনা বা দৃশ্য কল্পনা করুন। তারপর শ্বাসটা ছেড়ে দিন। এভাবে কয়েকবার অনুশীলন করুন। টানা ১০ মিনিট ধরে ব্যায়ামটি করবেন।
সংগীতেরমূর্ছনা: হালকা মনোহারী কোনো সংগীতের মূর্ছনা বা মিউজিকের সঙ্গে যদি ব্যায়ামগুলো করা যায়, তা শিথিলায়নে বেশ কাজে দেয়। এ ক্ষেত্রে একটু ধীর লয়ের ও মৃদু মিউজিক বেছে নিতে হবে।
যোগব্যায়াম: নানা ধরনের যোগব্যায়াম ও মেডিটেশনের সাহায্য নিতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে শরীর হালকা ও ঝরঝরে হবে এবং মাংসপেশিতে রক্ত চলাচল বাড়বে। ব্যায়ামে স্নায়ু থেকে এনডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা উদ্বেগজনিত মাথাব্যথা কমাতে সহায়ক। পছন্দের যেকোনো ব্যায়াম, যেমন সাইকেল চালনা, জগিং, বাগান করা, সাঁতার, অ্যারোবিকস, নাচ ইত্যাদি অভ্যাস করুন।