অপ্রয়োজনীয় যে শব্দ শিল্প কারখানা বা কারখানা ছাড়া অন্য কোথাও থেকে আসে যেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সেটাই শব্দদূষণ।
শব্দদূষণের কারণ-
লাইসেন্সবিহীন পুরনো গাড়ির শব্দ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
ভাঙ্গাড়ি যানবাহনের শব্দ।
মেশিনের শব্দ।
অপরিকল্পিত নগরায়ন।
বিল্ডিং কনস্ট্রাকসনের শব্দ।
শিল্পকারখানার শব্দ।
ট্রাফিক শব্দ।
ইনডোর পারিবারিক কাজের শব্দ। বিল্ডিংয়ের কাজের শব্দ। সাইন্ড বক্সে উচ্চ মাত্রায় গান বাজনার শব্দ। হাই ভলিউমে টিভির শব্দ।
শব্দদূষণ ও তার মাত্রা: মানব দেহের শ্রবণ শব্দ ১৫-২০ কিলোহার্টজ, শব্দদূষণের সহনীয় মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের নিচে। শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের উপরে গেলে একজন সম্পূর্ণরূপে বধির হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে শিল্প কারখানার শব্দ অবশ্যই ৭৫ ডেসিবেলের নিচে থাকতে হবে। ঢাকা শহরের শব্দদূষণের মাত্রা কোনো কোনো জরিপে দেখা গেছে ৬০-৮০ ডেসিবেলের মধ্যে।
শব্দ দূষণের ফলাফল
স্থানীয় শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া।
টেনশন বেড়ে যাওয়া।
স্ট্রেস রিলেটেড।
যোগাযোগে সমস্যা হওয়া।
উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া।
শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়া।
পরিবারের ওপর (শিশুর কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়া) এর প্রভাব পড়বে।
এই প্রভাব দেশ ও জাতির ওপর পড়বে।
শব্দদূষণ শিশুর বিকাশকে কীভাবে বাধাগ্রস্ত করে
শিশুর রাতের ঘুম কমে যায়।
অন্যের সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা কমে যায় এবং শোনার ক্ষমতা কমে যায় ফলে পারফরমেন্সে সমস্যা হয়।
যোগাযোগের মাত্রা কমবে।
স্কুল পারফরমেন্স কমে যায় বা খারাপ হয়ে যায়।
আস্তে আস্তে শ্রবণক্ষমতা কমতে থাকে এবং শেষে বধির হয়ে যেতে পারে।
৫ বৎসরের কম বয়সীর শিশুর জন্য শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বিকার গ্রস্ত হবে।
শিশুকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি করার উপায়
সাউন্ড প্র“ভ রুমের ব্যবস্থা করা।
নতুন বাড়িঘর (বিল্ডিংয়ের) তৈরি এবং শিল্প কারখানার কনস্ট্রাকশন পরিকল্পিতভাবে আবাসিক এলাকা থেকে দূরে থাকতে হবে।
বাস টার্মিনাল, রেল টার্মিনালের মাত্রা অতিরিক্ত শব্দ থেকে শিশুকে বাঁচাতে টার্মিনাল লোকালয় থেকে দূরে রাখা।
অতিরিক্ত শব্দের যানবাহন, লাইসেন্সবিহীন যানবাহন ব্যান্ড করা।