সমাজ-সভ্যতা যত এগোচ্ছে, যৌন রোগের ঝুঁকি ও এ নিয়ে সচেতনতা ততই বাড়ছে। অনেকে এ রোগকে একেবারেই আমলে নিতে চান না আবার অনেকে এ রোগে আক্রান্ত হলে মুষড়ে পড়েন।
গনোরিয়ার জটিলতা : শুক্রনালি বন্ধ হয়ে যায় এবং শুক্রাশয় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। স্ত্রীসঙ্গমে সমস্যা দেখা না দিলেও সন্তান জন্ম দেয়ার সম্ভাবনা কমে যায়, কারণ বীর্যকোষ সঠিকভাবে তৈরি হয় না। হলেও ভাসনল দিয়ে তা বের হতে পারে না। চিকিৎসা না নিলে প্রস্টেট গ্রন্থিতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। মূত্রনালির সমস্যা যেমন প্রস্রাব করতে অসুবিধা, মূত্রনালি সংকীর্ণ হলে প্রস্রাব আটকে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।
নারীর গনোরিয়ায় ডিম্বনালির ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং মা হওয়ার সম্ভাবনা হারিয়ে যায়। ঘন ঘন প্রস্রাব হয় এবং গর্ভবতী হলেও অনাগত শিশুর চোখ আক্রান্ত হয়। গনোরিয়ার নারী-পুরুষ উভয়ের হাঁটু ও গোড়ালি ফুলে পুঁজ জমে।
সিফিলিসে জটিলতা : সিফিলিসে ৩০ ভাগ রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যেতে পারে। বাকি ৭০ ভাগের মধ্যে ৩০ জনের সুপ্ত সিফিলিস জীবনব্যাপী থাকতে পারে। অর্থাৎ এরা উপসর্গবিহীন থাকে। বাকি ৪০ শতাংশের স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রে সিফিলিসের জটিলতা দেখা যায়।
গর্ভবতীর এ রোগের জীবাণু থেকে গর্ভপাত হতে পারে কিংবা আক্রান্ত শিশু সিফিলিস নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সিফিলিসের চিকিৎসা তাই সবাইকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।