গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলেও কোনও দম্পতির জীবনযাপনের ধরনের উপরে নির্ভর করে কত তাড়াতাড়ি গর্ভধারণ হবে। যারা দ্রুত সন্তান চান, তাদের বেশ কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত এবং পাশাপাশি বহু অভ্যাস জীবন থেকে বাদ দেওয়া উচিত।
দ্রুত সন্তান নিতে আগ্রহী দম্পতির জন্য রইল ১০ টি টিপস। এগুলি মাথায় রেখে চললেই দ্রুত এবং সহজে গর্ভধারণ সম্ভব—
১) দ্রুত গর্ভধারণ করার প্রথম পদক্ষেপ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। দু’জনেই সম্পূর্ণভাবে সক্ষম কি না তা প্রথমেই পরীক্ষা করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি ধরা পড়ে কোনও একজনের কিছু সমস্যা রয়েছে তবে অবিলম্বে ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট বা বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে।
২) ধূমপানের অভ্যাস থাকলে দু’জনেরই তা বর্জন করা উচিত। পুরুষদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ধূমপান স্পার্ম কাউন্ট ২০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে, ধুমপানের ফলে ইউটেরাসে ‘ডিম্বাণু’-র গঠন প্রভাবিত হতে পারে।
৩) অতিরিক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে মহিলাদের তা বর্জন করা উচিত। দিনে ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফিন মহিলাদের শরীরে গেলে তা গর্ভধারণ ক্ষমতা হ্রাস করে।
৪) দু’টি পিরিয়ডের মধ্যবর্তী সময়ে, মাসের মধ্যে যে সময়টিতে ডিম্বাণু সম্পূর্ণভাবে গঠিত হয়ে যায় এবং যে সময়টিতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সেই সময়টিকে চিহ্নিত করা জরুরি। এটি সবচেয়ে ভাল বোঝা যায় সার্ভিক্যাল মিউকাস থেকে। ডিম্বাণু গঠিত হয়ে গেলে যোনি থেকে সাদা এবং স্টিকি এক ধরনের মিউকাস ডিসচার্জ হয়। মাসের এই সময়টাই গর্ভধারণের পক্ষে আদর্শ।
৫) ডিম্বাণু গঠিত হয়ে গেলে বা ওভিউলেশন হয়ে গেলে তার পর থেকে পিরিয়ডস শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়টিতে নিয়মিত একাধিকবার সঙ্গম করুন। পুরুষাঙ্গের পেনিট্রেশন যত তীব্র হবে ততই ভাল।
৬) যোনির ভিতরে বীর্যপাত হওয়ার পরে মহিলারা দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকুন। কোমরের নীচে একটি বালিশ রেখে শুলে আরও ভাল। যতটা সম্ভব সিমেনকে শরীরের ভিতরে থাকতে দিন এবং স্পিলিং যত কম হবে ততই ভাল।
৭) বেশ কিছু সেক্স পজিশন রয়েছে যেগুলিতে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই বিষয়ে বিশদে জেনে ওই পজিশনগুলিতেই সঙ্গম করুন।
৮) মহিলারা সঙ্গমের সময়ে যোনিতে কোনও লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করবেন না। সব লুব্রিক্যান্ট গর্ভনিরোধক নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই কেমিক্যালের সংস্পর্শে এসে স্পার্ম নষ্ট হতে পারে।
৯) ভিটামিনের অভাবে গর্ভধারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই গর্ভধারণ করার কথা ভাবলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত ভিটামিন খেতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফোলিক অ্যাসিড ইত্যাদি শরীরে যত বেশি থাকবে ততাই ভাল।
সূত্র : হেলথিবিল্ডার্স
©2014 Copyright by Micron Techno. All rights reserved.