প্রাচীন কালে মানুষ বিভিন্ন রোগ সারানার জন্য প্রাকৃতিক সব জিনিস বেছে নিত। পুরনো সেইসব পদ্ধতি আজকের দিনের মানুষ ব্যবহার করতে খুব একটা ভরসা পান না। কিন্তু দীর্ঘদিন ওষুধ ব্যবহারেও যারা ভালো ফল পাচ্ছেন না তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
বেকিং সোডা : বেকিং সোডা বিভিন্ন ব্যথা উপশমে কাজে লাগে।এছাড়া ত্বকের নানা প্রকারের ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাল সংক্রমণ নিরসনেও বেকিং সোডার জুড়ি নেই। পোকামাকড়ের কামড়, মৌমাছির কামড়ের ব্যথা সারাতে সাহায্য করে বেকিং সোডা। এ জন্য কিছু বেকিং সোডার সঙ্গে সাধারণ পাউডার মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। তারপরে তা ত্বকে লাগান। ব্যথা দ্রুতই সেরে যাবে।
লেবু: লেবু ত্বক কিংবা শরীরে রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য দারুন উপকারী। এটি কানের সমস্যাতেও বেশ কাজে দেয়। এতে থাকা এসিড কানের যেকোন ধরনের প্রদাহ বা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এর জন্য আক্রান্ত স্থানে লেবুর রস লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ পর আরাম বোধ করবেন। মেনথল: সাইনাসের কারণে অনেকের প্রায়ই নাক বন্ধ হয়ে যায়। তখন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।এর জন্য একটা গামলায় পানি নিয়ে তাতে মেনথল বা পেপারমিন্ট মেশান। তারপর নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। এটি নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
মধু: এছাড়া মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চা কিংবা গরম পানির সঙ্গে প্রতিদিন মধু মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।
কিসমিস: কিশমিশ আর্থাইটিস রোগের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর্থাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।