বাংলাদেশ জাতীয় বধিরকল্যান হাসপাতাল
বাংলাদেশ জাতীয় বধিরকল্যান হাসপাতাল
বধিরদের কল্যানে নিবেদিত বাংলাদেশ জাতীয় বধিরকল্যান হাসপাতাল । ডাঃ মোঃ মজিবর রহমান এমবিবিএস, ডিএলও, এফসিপিএস এর সার্বিক পরিচালনায় হাসপাতালটি শ্রবণ প্রতিবন্ধি মানুষের সেবায় নিয়োজিত । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে বাংলাদেশর মোট জনসংখ্যার প্রায় 80 লক্ষ লোক বধির (No hearing)। তার মধ্যে 17 লক্ষ লোক অতিমাত্রায় বধির। এই 17 লক্ষ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কাযকরী কোন পুর্নবাসন কেন্দ্র এখনও বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় নাই।পল্লী সমাজ সেবা সংস্থার অধীনে এই জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা, শিক্ষা ও কমদক্ষতার মাধ্যমে পুর্নবাসন করতে বাংলাদেশ জাতীয় বধিরকল্যান হাসপাতাল দৃঢ় প্রত্যয়ী।
ডাঃ মোঃ মজিবর রহমান উক্ত হাসপাতলের বর্তমান ও ভবিষৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন সংস্থার আওতাধীন একটি কার্যক্রম পরিচালিত হইবে যাহার নাম জাতীয় বধিরতা প্রতিরোধ কার্যক্রম(National Deafness Prevention Programme)উক্ত কার্যক্রম বাংলাদেশের সকল জেলায় পরিচিালনা করা হইবে।
উক্ত কার্যক্রমের বিভিন্ন অংশ হইল-
বধিরতা সনাক্তকারীর প্রশিক্ষন t- জাতীয় বধিরতা প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচারনার জন্য বধিরতা সনাক্তকারীর প্রশিক্ষন আবশ্যক। সাধারণ এস,এস,সি বা তথোধ অথবা মেডিকেল ডিপ্লোমাধারী শিক্ষিত যুবক বা যুবতীরা এই কার্যক্রমে অংশগ্রহন করিবে। এই কোর্সের মেয়াদ 1 বৎসর । সাধারনত এমবিবিএস, মেডিকেল ডিপ্লোমা অথবা চিকিৎসা বিষয়ক অন্যান্য বিষয়ে গ্রাজুয়েট প্রাপ্ত (যেমন-ফার্মেসী) শিক্ষকগন এই কার্যক্রমের উপর ট্রেনিং দিবে ।প্রশিক্ষন শেষে কৃতকার্যদেরকে 1 বৎসরের ইএনটি এক«পাট স্বাস্থ্য কর্মী হিসাবে সনদ প্রদান করা হইবে ।সংস্থার সভাপতি ডাt মোt মজিবর বহমান উক্ত প্রশিক্ষনের সার্বিক তদারকি করিবেন ।উক্ত প্রশিক্ষনের স্থান হইল-63 দয়াগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
বধিরতা সনাক্তকরণ t- বধিরতা সনাক্তকারীদের সফল প্রশিক্ষন শেষে তাকে সহ একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হইবে। উক্ত মেডিকেল টিমের সদস্য সংখ্যা হইবে 4 জন-(ক)বধিরতা সনাক্তকারী (খ) মার্কেটিং ম্যানেজার (গ)টিম সহকারী(ঘ)প্রচারম্যান ।উক্ত টিম প্রতিটি ইউনিয়নে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে বধিরতা সনাক্ত করিবে। যেহেতু বধিরতা শুধু কানের জন্য হয় না, নাক ও গলার সমস্যা হতেও বধির হতে পারে ।তাই তাহারা নাক কান ও গলা ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প করিবে এবং বধিরতা সনাক্ত করিবে ।প্রয়োজনে উক্ত স্থানে স্থানীয় গন্যমান্যদের দিয়ে 15-20 সদস্যের একটি নাক কান ও গলা ফ্রী ক্যাম্প পরিচালনা কমিটি গঠন করা হইবে।
বধিরদের চিকিৎসা ব্যবস্থা t- বধিরতা সনাক্ত করনের পর তাদের চিকিৎসার উপর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে এবং তাদেরকে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ জাতীয় বধিরকল্যান হাসপাতালে রেফার করা হবে।
কানে শুনানীর যন্ত্র প্রদান (Hearing aid)- যে সকল রোগী অতিমাত্রায় বধির(Profound Deafness)এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম করিতে অসুবিধা হয় তাদেরকে স্বল্য মুল্যে কানে শুনানীর যন্ত্র বিতরণ করা হইবে।
ঔষধ বিতরণ t- নাক কান ও গলা ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে আগত হত দরিদ্রদের মাঝে বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ করা হইবে।
সংস্থার সভাপতি ডাt মোt মজিবর রহমান এমবিবিএস, ডিএলও, এফসিপিএস ডিগ্রীধারী চিকিৎসক এবং ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের নাক কান ও গলা বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক ।পেশাগত দায়িত্বের বাইরে উক্ত কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হওয়ার লক্ষে প্রতি শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিনে সভাপতি ও তার অধীনস্থ মেডিকেল টিম নিয়ে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ক্যাম্পে ফ্রী মেডিকেল টিমে নাক কান ও গলা বিভাগের রোগী দেখিবে এবং বধিরতা সনাক্ত করিবে।
শব্দ দুষন প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা t- অতিমাত্রায় শব্দ দুষনের ফলে ধীরে ধীরে একজন মানুষ বধির হতে পারে। তাই শব্দ দুষন প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা বিষয়েও কাজ করিবে।
ভবিষৎ পরিকল্পনা t- ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত তহবিল গঠন হইলে বধিরদের জন্য একটি আধুনিক বধির পুর্নবাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করা হইবে।উক্ত কেন্দ্রে বধিরদের চিকিৎসা সেবা, প্রি স্কুল, হাইস্কুল, কলেজ, বিশ্বাবিদ্যালয়, বধির প্রশিক্ষন কেন্দ্র (Vocational Training Centre)করা হইবে। উক্ত কেন্দ্রে শুধু বাংলাদেশী বধির নয়,বিশ্বের অন্যান্য দেশের বধিররাও পুর্নবাসিত হইবে।
সভাপতি
ডাt মোt মজিবর রহমান
এমবিবিএস, ডিএলও, এফসিপিএস
সহকারী অধ্যাপক
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের
নাক কান ও গলা বিভাগ