হাঁপানি বা অ্যাজমা বলতে সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টকেই বোঝানো হয়৷ ছোট-বড় অনেকেই কষ্ট পায় এ রোগে৷ তবে আঁশযুক্ত খাবার শ্বাসনালীর এই সংক্রমণকে দূরে রেখে শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়তা করে৷ সেই খাবারগুলি কী? হাঁপানিবাঅ্যাজমা
পশুর উৎপাদিত কোনো কিছুতেই বলতে গেলে আঁশ নেই৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সাধারণ মানুষের জন্য দিনে কম পক্ষে ৩০ গ্রাম আঁশ প্রয়োজন৷ দানা বা বীজযুক্ত খাবার এবং বিভিন্ন ফল ও সবজিতে রয়েছে প্রচুর আঁশ৷ রুটি
রুটি কম-বেশি সব বাড়িতেই খাওয়া হয়৷ তবে আজকাল আটাকে মেশিনে ঘষে-মেজে দেখতে সুন্দর, সাদা করে তোলার ফলে আটার আসল গুণ বা আঁশ রয়ে যায় মেশিনেই৷ বলা বাহুল্য, দানাযুক্ত খাবারে বেশি আঁশ থাকে৷ তাই লাল আটা বা ভূষিসহ বাদামি আটার রুটি খেয়ে শ্বাসনালীর সংক্রমণকে দূরে রাখার পরমর্শ দেন হাঁপানি বিশেষজ্ঞরা৷ চাল
আতপ চালের চেয়ে সেদ্ধ চালে পুষ্টিগুণ বেশি৷ তাই লাল চাল বা সেদ্ধ চালের ভাত খাওয়াই ভালো৷ সেদ্ধ চালে ভিটামিন বি-১ এবং খনিজ পদার্থ কিছুটা বেশি থাকে৷ লাল আটা, লাল চালের ভাত অথবা রুটি গ্যাস্ট্রিক ও ডায়বেটিসকেও দূরে রাখতে সহায়তা করে৷ ফলওসবজি
বিভিন্ন ফলে রয়েছে প্রচুর আঁশ৷ বিশেষ করে আপেল, এপ্রিকট, পাকা, আম, কাঁঠাল, আমলকির মতো নানা ফলে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে৷ এছাড়া গাজর, শিম, পটল, ঢ্যাঁড়স, বাঁধাকপি, টমেটো, মটরশুটি বা ব্রকোলি ইত্যাদিতে সবজিতেও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ আঁশ৷ দেশিখাবার
মুগ, ছোলা ও অন্যান্য ডালেও আঁশ আছে৷ অনেকের ধারণা, ফল বা ভালো খাবার বলতে শুধু বিদেশি ফল বা খাবার বোঝায়৷ এটা মোটেই ঠিক নয়৷ আমাদের দেশেই রয়েছে আঁশ ও ভিটামিনযুক্ত প্রচুর খাবার, যা দামের দিক থেকে সস্তা তো বটেই, তুলনামূলকভাবে টাটকাও৷ শুকনোফলওবাদাম
অনেকের ধারণা শুকনো ফল মানেই ভালো নয়, এটা আসলে ঠিক নয়৷ সব সময় হয়ত সব ফল ঘরে থাকে না৷ তাই কম চিনি দেয়া বা চিনি ছাড়া শুকনো ফল, কাঠ বাদাম বা অন্যান্য বাদাম ঘরে রেখে দেয়া যায়, যা প্রয়োজন হলেই খাওয়া যেতে পারে৷ তাছাড়া বাজারে পাওয়া যায় সূর্যমুখী ফুলের বিচি, তরমুজের বিচি, কুমড়োর বিচির মতো নানা ফল ও সবজির বিচি, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী৷ বিশেষপরামর্শ
অবশ্য যারা আঁশযুক্ত খাবার আগে তেমন খাননি, নতুন করে খাওয়া শুরু করছেন, তাদের জন্য অ্যাজমা-বিশেষজ্ঞ ডা. বেনইয়ামিন মার্সলান্ডের দেয়া টিপস: ‘‘প্রথমেই বেশি বেশি না খেয়ে আস্তে আস্তে শুরু করতে হবে৷ তা না হলে পেটে গ্যাস হওয়া, পেটে ভরা ভরা ভাব বা পেট ব্যথাও হতে পারে৷ সবচেয়ে জরুরি, এ সব খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করা, যাতে তা হজম হয়৷ তবেই কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে৷’’