অতি পরিচিত একটি শাকপাতা হলো কচুশাক! গ্রামাঞ্চলে কচুশাক খুবই জনপ্রিয়। কারণ ধানের ক্ষেতে, বিলের ধারে যত্রতত্র বিনা যত্নে জন্মে বলে কচুশাক সহজেই পাওয়া যায়, কিনে খেতে হয় না। কচুগাছ জলাভূমি ও শুকনো দু ধরনের জায়গাতেই জন্মায়। বেশির ভাগ কচুগাছ চাষ করতে না হলেও কিছু কিছু কচু খুব যত্ন নিয়ে চাষ করা হয়।
রাতাকানা রোগসহ ভিটামিন এ-এর অভাবে হওয়া সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধে কচুশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন এ-এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি-ও। তাই মুখ ও ত্বকের রোগ প্রতিরোধেও কচুশাক সমান ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, তাই হূদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়।
কচু শাকই আপনার দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদার অনেকখানি পূরণ করতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রাম কচুশাকে রয়েছে—
খাদ্যশক্তি :৪২ কিলোক্যালরি
খাদ্যআঁশ :৩.৭ গ্রাম
শর্করা :৬.৭ গ্রাম
আমিষ :৫ গ্রাম
চিনি :৩ গ্রাম
চর্বি :০.৭৪ গ্রাম
ভিটামিন এ :২৪১ আইইউ
থায়ামিন :০.২০৯ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লেভিন :০.৪৫৬ মিলিগ্রাম
বিটা ক্যারোটিন :২৮৯৫ আইইউ
ফোলেট :১২৬ আইইউ
ক্যালসিয়াম :১০৭ মিলিগ্রাম
ফসফরাস :৬০ মিলিগ্রাম
জিংক :০.৪১ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন :১.৫১৩ মিলিগ্রাম
আয়রন :২.২৫ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬ :০.১৪৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি :৫২ মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে :১০৮.৬ আইইউ
ম্যাগনেসিয়াম :৪৫ মিলিগ্রাম
ম্যাংগানিজ :০.৭১৪ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম :৬৪৮ মিলিগ্রাম
নানান গুণের কচুশাক আমাদের শরীরকে সুস্থ্য ও সবল রাখার জন্য কাজ করে। যেমন :এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, যা দেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠনে ভূমিকা রাখে। এর বিভিন্ন ভিটামিন কোষের পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
রাতকানা, ছানিসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে কচুশাক অতুলনীয়।
কচুশাকে রয়েছে খাদ্যআঁশ, যা অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে, পরিপাকক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আয়রন ও ফোলেট রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। ফলে অক্সিজেন সংবহনও করে থাকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন কে রক্ত জমাটবাঁধার সমস্যা প্রতিরোধ করে।
কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস, ও ম্যাংগানিজ। হাড় ও দাঁত গঠনে ও ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
©2014 Copyright by Micron Techno. All rights reserved.