আমড়ার যত গুন
আমড়া বাংলাদেশের অতি পরিচিত জনপ্রিয় ফল। যদিও রান্না করে খাওয়া যায়, কিন্তু অধিকাংশ লোক কাঁচা কামড়ে চিবিয়ে খায় পুরা ভিটামিন পাওয়া ও স্বাদের জন্য।
উপকারিতা
পিত্ত বমনেঃ ভাদ্র আশ্বিন মাসে এই পিত্ত বমন রোগটা দেখা যায়। এটা হলে আগে থেকে রোদে শুকিয়ে রাখা আমড়া গাছের ছাল ৫ গ্রাম এক কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে দুই ঘন্টা পর পানিটা ছেকে নিয়ে অল্প অল্প করে দিনে তিন-চারবার খেলে ভাল হয়।
অগ্নিমান্দ্যেঃ সুপরিপক্ব আমড়া বেটে মলমের মতো করে কোন পাত্রে আমসত্ত্বের মতো করে মেলে রোদে শুকিয়ে রাখতে হয়। অগ্নিমন্দা হলে ওই শুকানো আমড়া আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দৈনিক দুই বার দুই-তিন দিন খেলে ভালো হয়।
শরীরে জ্বালা পোড়া হলেঃ কখনো কোনো কারনে শরীর জ্বালাপোড়া করলে, গোসলের আগে আমড়ার হাল বেটে ৭-৮ চামাচ রস নিয়ে এক কাপ পনিতে মিশিয়ে ওই পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। তারপর এক ঘন্টা পর গোসল করার সময় শরীর ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরে গায়ে তিলের তেল মালিশ করে নিতে হবে। তিন চার দিন এভাবে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
অজীর্ণ রোগেঃ যাদের মল সাদাটে, তার সঙ্গে পিত্ত, হাত-পায়ে জ্বালা, বিকেলে চোখ জ্বালা করে, মুখে স্বাদ নেই, তারা পাকা আমড়া বেটে এক কাপ পানির সঙ্গে একটু চিনি দিয়ে খেলে উপকার হবে। তিন-চার দিন খেতে হয়।
অরুচিতেঃ কারো কারো পেটে ক্ষিদে কিন্তু মুখে বিস্বাদ, তারা আমড়া গাছের ছালের রস এক চামচের সাথে অল্প পানি চিনি বা মধু দিয়ে শরবত বানিয়ে খেলে মুখে রুচি আসে।
গ্রহনী রোগেঃ কারো দিনে ২/৩ বার, রাতে নয়। আবার কারো দু’বার প্রচুর মল বেরিয়ে যায়। আবার দু’তিন দিন বাদে এক দিন ৩-৪ বার পাতলা পায়খানা হয়। এমন যাদের হয়, তারা আমড়া গাছের আঠা পানিতে ভিজিয়ে একটু চিনি দিয়ে খেলে ভালো হয়। দৈনিক দুইবার ৪-৫ দিন খেতে হবে।
শুক্র তারল্যেঃ আমড়ার আটি ভেঙে ওর শাঁস বেটে রস বের করে সেই রস খেলে শুক্র গাঢ় হয়। শক্তি বাড়ে।
©2014 Copyright by Micron Techno. All rights reserved.