আয়ু বাড়বে ৬০ শতাংশ, যদি ক্ষতিকর জিন শরীর থেকে বের করা যায় !
বার্ধক্য বিলম্বিত করে বেশিদিন বাঁচতে চান? উপায় খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের জিনের কারণেই বার্ধক্য ত্বরান্বিত হয় । অতএব দেহ থেকে ক্ষতিকর জিন মুছে ফেলতে পারাটাই সমাধান। তাতে বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখা হয়তো যাবে না, বিলম্বিত করা যাবে। অর্থাৎ আয়ু বাড়ানো যাবে। ক্ষতিকর জিন মুছে দিতে পারলে প্রতিটা মানুষের আয়ু বেড়ে যাবে কম করে হলেও ৬০ শতাংশ।
Buck Institute for Research on Ageing and the University of Washington-এর একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণায় মানুষের দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী ২০০টির বেশি ক্ষতিকর জিন শনাক্ত করেছেন। এই জিনগুলোকে’ দেহ থেকে সরিয়ে ফেলতে পারলেই আপনি আর সহজে বুড়িয়ে যাবেন না। বাঁচবেন আজকের গড়পড়তা মানুষের চেয়ে অনেক দিন বেশি। মানে স্বাভাবিকের চেয়ে আয়ু বেড়ে যাবে কয়েক দশক। বংশগত নানা রোগব্যাধি থেকেও মিলবে রেহাই। এক কোষী ছত্রাকের জিনকে অকেজো বা নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে তারা দেখতে পেয়েছেন এতে করে এই ছত্রাকের জীবনকালের পরিসর বেড়ে গেছে বহুগুণ। হাতেকলমে চালানো তাদের এই পরীক্ষাটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে বড় এক অগ্রগতি। পরীক্ষা চালিয়ে তারা যা দেখতে পেয়েছেন তার বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে: ‘.showing that small genetic tweaks can make organisms live 60 per cent longer.’’
বিজ্ঞানী এই গবেষণায় মগ্ন ছিলেন টানা ১০টা বছর। অবশেষে তারা সফলতার মুখ দেখলেন।
গবেষকদলের প্রধান ড. ব্রায়ান কেনেডি জানান,তারা সর্বমোট ২২৮টি অপ-জিন চিহ্নিত করেছেন। এই ক্ষতিকর এইগুলোকে অকেজো বা নিষ্ক্রিয় করে দিলে বা জীবদেহ থেকে সরিয়ে বা মুছে দিলে আয়ুর পরিধি বেড়ে যাবে অবিশ্বাস্যভাবে। এইসব অপ-জিনের অধিকাংশই থাকে মানুষ ও স্তন্যপায়ী প্রাণিদের দেহে।
তারই দলের অপর সদস্য ড. মার্ক ম্যাক্করমিক এ প্রসঙ্গে যোগ করলেন: "আমাদের গবেষণার সর্বোত্তম ফলটাও আমরা পেয়েছি একটিমাত্র জিনকে এক কোষী ছত্রাকের দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে। আর তাতেই ওই ছত্রাকের আয়ু বেড়ে গেছে ৬০ শতাংশের বেশি।’'
এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে সেল মেটাবলিজম ( Cell Metabolism.) নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে।
জেনে রাখুন:
জিন কি? একটি জিন বংশগত মৌলিক শারীরিক ও কার্যকরী ইউনিট. ডিএনএ নিয়ে গঠিত হয় , মানুষের 20,000 এবং 25,000 জিনের আছে বলে অনুমান করা হয়েছে .প্রত্যেক ব্যক্তি প্রতিটি অভিভাবক থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত প্রতিটি জিনের দুটি কপি , বেশিরভাগ জিন সব মানুষ একই , কিন্তু জিন অল্প সংখ্যক ( মোট 1 শতাংশেরও কম ) মানুষের মধ্যে কিছুটা ভিন্ন. অ্যালিল ডিএনএ ঘাঁটি তাদের ক্রমানুসারে ক্ষুদ্র পার্থক্য সঙ্গে একই জিনের রূপ . এই ক্ষুদ্র পার্থক্য প্রতিটি ব্যক্তির অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য অবদান .