স্বাস্থ্য বার্তা

যে কারণে শীত ফ্লু ছড়ানোর মৌসুম

বাতাসে শীতের আগমনী বার্তা। শীতের না বলে ফ্লু বা ভাইরাস ছড়ানোর মৌসুম আসছে বলা যেতে পারে। এ ফ্লু ছড়ানোর মৌসুম প্রতিবার বিশ্বব্যাপী ৫০ লাখ লোককে আক্রান্ত করে, কেড়ে নেয় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ। কিন্তু ভাইরাস ছড়ানোর জন্য শীতই কেন ‘মোক্ষম’ সময় হয়ে ওঠে, তা আজও অজানা থেকে গেছে। 
 
বিগত ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণা ও নথিপত্র ঘেঁটে সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম। এতে শীতই কেন ভাইরাস ছড়ানোর ‘মোক্ষম’ সময় এবং ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
 
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, কার্যকারিতা বিবেচনায় ভাইরাস খুব দ্রুতই পরিবর্তিত হয়। এ কারণে পরবর্তী মৌসুমের ধকল সামলানোর জন্য আমাদের শরীর প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পায় না। অর্থাৎ এক মৌসুমের ভাইরাস সামলানোর জন্য আমাদের শরীরে যে প্রতিরোধক গড়ে ওঠে, পরবর্তী মৌসুমে আসা ভাইরাসকে সে প্রতিরোধক চিনতে পারে না। ফলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা অকেজো হয়ে পড়ে। আর এ কারণেই ভাইরাস প্রতিরোধক কার্যকর ভ্যাকসিনও বানানো যায় না। আবিষ্কার করা যায় না ভাইরাস থেকে সুরক্ষার নতুন কোনো পথও।
 
আবার ভাইরাস ছড়ানোর জন্য শীত ‘মোক্ষম’ সময় হয়ে ওঠার কারণ হিসেবে বিগত গবেষণাগুলো আমাদের জীবনাচারকেও দায়ী করেছে। এরমধ্যে ঘরের দরোজা-জানালা বন্ধ রেখে আড্ডাবাজি-গল্পগুজবের কথা উল্লেখ করা যায়। দরোজা-জানালা বন্ধ থাকলে আমরা যে কাশি বা হাঁচি দিই, তার মাধ্যমে সৃষ্ট জীবাণু ঘরেই থেকে যায়, এর সঙ্গে যুক্ত হয় বাইরের অতিথির নিয়ে ‍আসা জীবাণুও। তাছাড়া, শীত থেকে বাঁচতে বাস-ট্রেনে দরোজা-জানালা বন্ধ করে যাতায়াতও জীবাণু সংক্রমণে উল্লেখযোগ্যভাবে দায়ী।
 
শীতকালটায় অনেক সময়ই সূর্যের আলো পায় না দেহ। এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ভিটামিন ডি বঞ্চিত থাকতে হয় আমাদের। অর্থাৎ ভিটামিন ডি না পাওয়ায় আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার আমরা যখন ঠাণ্ডা বাতাসে শ্বাস-প্রশ্বাস নিই, তখন আমাদের নাকের বদ্ধপ্রায় রক্তনালীগুলোর কারণে ভেতর থেকে গরম বের হতে পারে না। এর ফলে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইকারী সাদা রক্তকোষগুলো তাদের কার্যক্রমে বাধা পায় এবং একসময় সেগুলো নিষ্ক্রিয়ও হয়ে যায়।
 
শীত মৌসুমে ভাইরাস ছড়ানোর কারণ পুরোপুরি জানা না গেলেও অনেক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী মনে করেন, এর উত্তর আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাসেই উড়ছে। ঠাণ্ডা বাতাসে এমনিতেই জলীয় বাষ্প কম থাকে। আর আবহাওয়া যখন স্যাঁতস্যাঁতে বা ‍আর্দ্র থাকে, তখন ঠাণ্ডা বাতাসে আর্দ্রতা ঝরে পড়ে, আবহাওয়া হয়ে ওঠে আরও শুষ্ক। গত ক’বছরের বেশ কিছু গবেষণা মতে, এ ধরনের শুষ্ক আবহাওয়াই ভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে ‘মোক্ষম’ পরিবেশ হয়ে ওঠে।
 
ওইসব গবেষণা অনুযায়ী, আর্দ্র আবহাওয়ায় রোগ-ব্যাধি শরীরে ঢোকার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে, যখনই আবহাওয়ায় খানিকটা শুষ্কতা দেখা যায়, তখনই রোগ-ব্যাধি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ৩০ বছরের জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নথি বলছে, আবহাওয়ায় আর্দ্রতা খানিক কাটলেই মহামারি আকারে ছড়ায় ফ্লু। ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লু পরবর্তী গবেষণাও এই তথ্যই প্রতিষ্ঠিত করেছে।
 
এ কথা সবার জানা যে, যখন কেউ জনসমাগমে চলাফেরা করে, তখন তাকে হাঁচি-কাশিতে সৃষ্ট জীবাণুযুক্ত বাতাসেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হয়। যেহেতু শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় হাঁচি-কাশির জীবাণু বেশ কিছু দিন ধরেই বাতাসে থেকে যায়, সেজন্য অনেকেই সাধারণত মাস্ক বা মুখোশ পরেন। কিন্তু এটা কি নিজেকে সুরক্ষার কার্যকর পদ্ধতি? 
 
অস্ট্রেলিয়ায় পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে এমন একটি পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যাদের আত্মীয়স্বজন-প্রতিবেশীরা মুখোশ পরেছেন ঠিকই, কিন্তু তাদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারেনি। তাদের এই মুখোশ পরিধান ৮০ শতাংশই কাজ করছে।
 
কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন, সাধারণত আমরা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় খোঁজার চেয়েও অসুস্থতার কারণ নিয়ে বেশি ভাবি। কিন্তু হাঁচি-কাশির অভিশাপের বিষয়ে কোনোই চিন্তা করি না। 
 
তারা বলেন, শীতে নাক ও মুখ থেকে কাশি বা শ্লেষ জাতীয় পদার্থ ফেলি। আর্দ্র আবহাওয়ায় এগুলো মেঝেতে বা কোনো স্থানে থেকে যায়, আর শুষ্ক আবহাওয়ায় এগুলা ক্ষুদ্রাকারে ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। এসবের কারণে সৃষ্ট জীবাণু শীতে মৃত কোষের মাধ্যমে যায় আমাদের শরীরে। সঙ্গে শরীরে যায় ঘর ঘুরে যাওয়া অতিথিদের জীবাণুও। তাছাড়া, বাতাসের বাষ্প এমনিতেই জীবাণুতে ভরা থাকে। শ্লেষে অম্লতা ও ঘন লবণাক্ততার পরিবর্তনের মাধ্যমে আর্দ্র আবহাওয়া ভাইরাসকে অকার্যকর করে ফেলতে পারে। এতে সাধারণত আমাদের কোষে ভাইরাস যেভাবে আক্রমণ করতে পারে, সে ক্ষমতা আর ধরে রাখতে পারে না। অন্যদিকে শুষ্ক বাতাসে ভাইরাস বেশ কিছু সময় থেকে যেতে পারে, এমনকি আমরা শ্বাস না নেওয়া পর্যন্তও কার্যকর থাকতে পারে।
 
তাহলে এখন কী করণীয়? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, একটি এয়ার হিউমিডিফায়ার (আর্দ্রতা ধরে রাখার ডিভাইস) একটি স্কুলে এক ঘণ্টা ব্যবহার করলে ৩০ শতাংশ ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিন গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষিত সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

জেনারেল স্বাস্থ্য
শিশু স্বাস্থ্য
For Ad
নারী স্বাস্থ্য
পুরুষ স্বাস্থ্য

যেভাবে ইবোলা ভাইরাস ছড়ায়
সাম্প্রতিক রোগ
বদভ্যাসে কিডনি বেহাল
শিশুর ওষুধ সেবনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
শিশু স্বাস্থ্য
শিশুর বমি
শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ
পুরুষের যৌন প্রবৃত্তি বাড়ায় মসলাদার খাবার
জোড়ার আঠালো পদার্থ শুকিয়ে গেলে
ফুসফুস ক্যানসার চিকিৎসায় ‘মাইলফলক’
ত্বকে ক্রিম লাগাবেন যেভাবে
তিন লিটার পানি বয়স কমাল ১০ বছর
গর্ভবতী মা কখন ও কতবার যাবেন চিকিৎসকের কাছে?
খাদ্য ও পুষ্টি
গরমে লেবুর সরবত
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু টিপস
রক্তের চর্বি কমানোর জন্য খাদ্যের নিয়ম
কলেরা প্রতিরোধে কম দামি সফল টিকা
হঠাৎ বৃষ্টি ও গরমে ঠান্ডা-জ্বর হলে কি করবেন
কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের উত্তম যে সময়
রোজাদার রোগীদের ওষুধপথ্য ও সতর্কতা অবলম্বন
অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের ব্যবহারে সতর্ক থাকুন
আদা
প্রশ্নোত্তর : রক্তচাপ
আপনার প্রশ্ন বিশেষজ্ঞের উত্তর
প্রশ্নোত্তর- বিষয়: কিডনি রোগ
হাততালিও হতে পারে প্রতিদিন সুস্থ থাকার হাতিয়ার
প্রতিনিয়ত দাঁতের ক্ষতি যেভাবে করি
গরমে স্বাস্থ্য- সচেতনতা
মস্তিষ্কে কি ঘটে, যখন নারী মাতৃত্ব লাভ করেন
একরাতেই ব্রণ দূর করার কৌশল
মরণব্যাধি ক্যান্সারের যে ১০ টি সতর্কীকরণ ল¶ণ অবহেলা করবেন না
দীর্ঘ ভ্রমণে স্বাস্থ্য সতর্কতা
ভ্রমণে স্বাস্থ্য সতর্কতা
টিনএজারদের ব্রণ সমস্যা ত্বকের সৌন্দর্যহানীর জন্য দায়ী
স্ক্যাবিস বা চুলকানি প্রতিরোধে করণীয়
ত্বকের যেসব রোগে চিকিৎসা একান্ত দরকার
হৃদরোগ প্রতিরোধে আপনি যা করবেন
হৃদরোগ প্রতিরোধে আপনি যা করবেন
প্রচন্ড গলাব্যথা ও টনসিলে ইনফেকশন
নাক-কান-গলার ক্যান্সার হতে সতর্ক ও সাবধান হওয়া
হঠাৎ কানের পর্দায় আঘাত পেলে
পেপটিক আলসারের আদ্যোপান্ত
অ্যালার্জি ও হাঁপানির থেকে পরিত্রাণ
কাশি যখন সমস্যা
দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের অন্যতম কারণ যখন রেটিনা
চোখের নিচের কালো দাগ কমানোর উপায় (১১ অক্টোবর বিশ্ব দৃষ্টি দিবস)
চোখ উঠলে যা করবেন
শীতকালে হাটুর ক্ষতি এড়াতে ১০টি বিষয় জেনে নিন
ঘাড়, মাথা ও বুক ব্যথার লক্ষণ ও চিকিৎসা
সকল প্রকার ব্যথায় কী বাত?
লিভার ডিজিজের অন্যতম ভয়াবহ কারণ এলকোহল
জানুন যকৃতের জন্য ভালো ও মন্দ খাবার কী
ভাইরাল হেপাটাইটিস একটি জটিল ও নিরাময়যোগ্য রোগ (২৮ জুলাই বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস)
প্রশ্নোত্তরে মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ জেনে নিই। (১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস)
হয়তো আপনার ঘরেই আছে সিজোফ্রেনিয়া রোগী
সিজোফ্রেনিয়া একটি অন্যতম মানসিক রোগ (১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস)
হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া অনুভব করলে করণীয়
গেঁটে বাত হলে কী করবেন?
বার্ধক্যে যত ব্যথা-বেদনা
জেনে শুনে যেভাবে দাঁতের ক্ষতি করছেন