অটিজম
অটিজম সাধারণত রোগ নয়। শিশুদের মনোবিকাশগত জটিলতা ফলে সাধারণত কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়া। যেমন:সমাজিক বিকাশগত সমস্যা,খুব সীমাবদ্ধ ও গণ্ডিবদ্ধ,মৌখিক কিংবা অন্য কোনো প্রকার যোগাযোগ সমস্যা জীবন-যাপন এবং অতি চাঞ্চল্য অহেতুক,জেদী ও আক্রমণাত্মক আচরণ ,ভয়ভীতি, খিচুনী ইত্যাদি ও থাকতে পারে।
বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে এই রোগটি নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে। ডাঃ লিও কান্নের এবংবিজ্ঞানী ডাঃ হ্যান্স এসপারজার ১৯৪৩ সালে রোগটি সম্বন্ধে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন । সাধারণত শিশুর বয়স ১৮ মাস থেকে ৩ বছর মধ্যে এই রোগ সনাক্ত করা সম্ভব । যত দ্রুত রোগটি সনাক্ত করা যায়, শিশুর জন্য ততই ভাল ।
যেকারণে অটিজম রাগটি হতে পারে ?
যদিও অটিজম কেন হয় এখনো পর্যন্ততার সঠিক কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি । মস্তিস্কের অস্বাভাবিক গঠন, অস্বাভাবিক মস্তিস্কে জৈব রাসায়নিক কার্যকলাপ,ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় অটিজম হতে পারে ।
অটিজম কিভাবে সনাক্ত করবেন: সাধারণত নিন্মলিখিত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে অটিষ্টিক
রোগটি সনাক্তকরণ সম্ভবঃ১. ভাষার বিকাশ হতে বিলম্ব হয়। ২.একই কথা পুনঃরাবৃত্তি করে । ৩. কাজ-কর্ম এবং সক্রিয়তা সীমিত ও
গণ্ডিবদ্ধ। ৪. একই কাজ বার বার করতে করে । ৫.নিজের মতো করে থাকতে পছন্দ করে । ৬. মা, বাবাকে বা অন্য কোন
প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরে না ৭. মাঝে মধ্যে অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ৮. সংবেদনশীল-এর
প্রতি অস্বাভাবিক আচরণ করে যেমন শব্দ শুনলে কানে হাত দেয়া ,আলোতে চোখ বন্ধ করে রাখে ।
অটিজম চিকিৎসা এখন পর্য়ন্ত আশা অনুরূপ চিকিৎসা অবিষ্কৃত হয়নি । তবে বাবা -মা আত্বিয় জনের সেবা যত্নে এই রোগের শিশুর বিকাশ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হলেও শিশুকে স্বাধীন জীবন-যাপন করার একটা পর্যায় আনা সম্ভব হয় । চিকিৎকের সহায়তয় করণীয় ঠিক করে শিশুর বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুটিকে আত্বনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা যায় । অটিজম শিশুকে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়া মাধ্যমে তার মানসিক বিকাশ ঘটানো সম্ভব ।সর্বোপরি রাষ্ট ও সামাজিক সহযোগিতা অটিজম শিশুর বিকাশের জন্য খুবই জরুরী।
24bdhealth
©2014 Copyright by Micron Techno. All rights reserved.